জেলা কৃষি অফিসের বক্তব্য, এই বৃষ্টিতে মুর্শিদাবাদের কৃষকদের ভালো হবে
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ সাইক্লোন মন্থার (Cyclone Mantha) খবর পেয়ে উদবেগে ছিলেন কৃষকরা (Farmers)। কী প্রভাব পড়বে? এই নিয়ে চিন্তায় ছিলেন? তবে অন্ধ্র-ওডিশার মন্থা বিপদ বাংলায় সেভাবে আসেনি। মন্থার জেরে বুধবার থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি (Rain) শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বিভিন্ন জায়গায়। এই বৃষ্টির কী প্রভাব পড়তে পারে কৃষির উপর? তা নিয়ে কৃষকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। ওয়াকিবহাল মহলে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কারণ মাঠে পড়ে রয়েছে আমন ধান। সারা বছর চাষিরা যেদিকে তাকিয়ে থাকেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে কিছুক্ষণ জোরে বৃষ্টি হলেও ভারী বৃষ্টি হয়নি।
আরও পড়ুনঃ Cyclone Mantha: সাইক্লোন মোন্থা ভিজিয়ে দিল বহরমপুরকে

Cyclone Mantha ফলে এই বৃষ্টিতে চাষের খুব বেশি ক্ষতি হবে না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বরং এই সময় বৃষ্টি হওয়ার ফলে অনেক ফসলে সেচের খরচ থেকে রক্ষা পেলেন চাষি। তবে এটা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া কৃষকদের। কোনও চাষের পক্ষে এই বৃষ্টি ভালো, কোনও চাষের পক্ষে খারাপ বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত যা বৃষ্টি হয়েছে তা মোটের উপর ক্ষতিকারক নয় বলে সামগ্রিকভাবে মনে করছেন কৃষকরা। কিন্তু তাঁদের প্রার্থনা, এখন আর যেন বৃষ্টি না হয়।
Cyclone Mantha কোনও কোনও কৃষকদের মতে, বৃষ্টির জেরে কম সংখ্যায় হলেও অনেক জায়গায় ধান পড়ে গিয়েছে। সেই ধানের অবস্থা খারাপ হবে। যারা দু-এক দিনের মধ্যে আলু লাগিয়েছেন তাঁদের আলু বীজ পচে যেতে পারে। তবে এই পর্যন্ত বৃষ্টি মাটি সামলে নিলেও এরপর বৃষ্টি হলে সর্বনাশ হতে পারে। আরেক কৃষক বলেন, পাকা ধানের পক্ষে এই বৃষ্টি ভালো নয়। তবে যেসব জমি শুকিয়ে ছিল। সেই জমি রস পাবে। সেখানে এরপরে সেচ ছাড়াই ট্রাক্টরে চাষ করা যাবে। তবে যেসব জায়গায় সেচ দেওয়া হয়েছে। সেখানে এই বৃষ্টি অতিরিক্ত। যারা খামারে ইতিমধ্যে ধান নিয়ে চলে এসেছেন। সেই ধান ভালো করে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে ধানের ক্ষতি হতে পারে।
Cyclone Mantha তবে এই নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা ড. উৎপল মণ্ডল এদিন বিকেলে বলেন, খুব বৃষ্টি হয়নি। ঝড় হয়নি। এই বৃষ্টি রবি চাষের পক্ষে ভালো হবে। মোটের উপর এই বৃষ্টি এখানকার কৃষকদের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। ভালো।










