Berhampore একটা স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে বিশাল কর্মযজ্ঞ। স্বপ্ন এটাই, যাতে এমার্জেন্সির সময় রোগী চিকিৎসা পেতে পারেন, কোন মানুষ যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন এবং সবটাই কম খরচে সাধ্যের মধ্যে। স্বপ্ন পূরণের এক গল্প আজ বাস্তবের মাটিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। মুর্শিদাবাদ জেলা তো বটেই মধ্যবঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে এক দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী উদ্যোগ। শহর বহরমপুরের পঞ্চাননতলায় উদ্বোধন হয়ে গেল চরক স্কয়ার হসপিটেক, Charak Square Hospitech একটি মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের। উদ্বোধন করলেন প্রবীণ চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ চিন্ময় দে, ডাঃ জে এন পাল সহ বিশিষ্টজন। উপস্থিত ছিলেন অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অমরেন্দ্রনাথ রায়, জেনারাল এন্ড ল্যাপ্রোস্কপিক সার্জেন ডাঃ সুদীপ সরকার, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ গোপাল সি ঘোষ, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ধ্রুবজ্যোতি সাহা। একদল উদ্যমী চিকিৎসকের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন বিশিষ্টরা। অসংখ্য মানুষ উদ্বোধনী পর্বে সামিল হলেন। চরক স্কয়ার হসপিটেক স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে নতুন আলোর দিশারী। যেখানে কম খরচে উন্নত চিকিৎসা, মডুলার ওটি, সিটি স্ক্যান, এমআরআই স্ক্যান, ইউএসজি, ডেক্সা স্ক্যান পরিষেবা তো থাকছেই পাশাপাশি আরও অনেক কিছু যা এই হাসপাতালকে করে তুলেছে একেবারেই অন্যন্য।
Berhampore হার্টের এমারজেন্সিতে সর্বোচ্চমানের হার্ট কেয়ার, অত্যাধুনিক জীবনদায়ী ক্যাথ ল্যাব রয়েছে চরক স্কয়ার হসপিটেকে। এমআরআই, সি টি স্ক্যান, ইকো কার্ডিওগ্রাফি, অ্যাঞ্জিও সবটাই ইন হাউস। যার ফলে একদিকে রোগী হয়রানি কমবে, অন্যদিকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতেও সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। মুর্শিদাবাদ জেলা নয়! এমনকি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও নেই এমন পরিষেবা যা রয়েছে চরক স্কয়ার হসপিটেকে। এমনটাই দাবী করছেন উদ্যোক্তা চিকিৎসকেরা। চরক স্কয়্যার হসপিটেক রোগী পরিষেবার ক্ষেত্রে পথ চলা শুরু করবে ২৭ শে জুন। চরক স্কয়্যার হসপিটেক বেসরকারি হাসপাতাল হয়েও অন্যন্য নজির গড়েছে। রয়েছে ২৪ ঘণ্টা নিজস্ব ব্লাড ব্যাঙ্ক, ২৪ ঘণ্টা কার্ডিওলজিতে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, অ্যাঞ্জিওগ্রাফি পরিষেবা, থাকছে নিউরোসার্জারি। এছাড়াও মর্গও থাকছে। যেখানে চারটি কোল্ড চেম্বার থাকবে।
চরক স্কয়ার হসপিটেক এর অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা-
Berhampore অত্যাধুনিক ওয়ার্ল্ড ক্লাস বা মডুলার OT বলতে যা বোঝায়, চরক স্কয়্যার হসপিটেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অপারেশন থিয়েটার এর অন্দরের সংক্রমণ রুখতে ব্যবহৃত হয়েছে স্টেনলেস স্টিল। রয়েছে অত্যাধুনিক বায়োফায়ার মেশিন (BioFire Machine), যা দ্রুত রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত একটি মাল্টিপ্লেক্স পিসিআর (PCR) প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা একই সাথে একাধিক রোগজীবাণু শনাক্ত করতে পারে। বার্ন কেবিনে ড্রেসিং এর জন্য বাথ টবের পরিষেবা। চিকিৎসা পরিষেবার সাথেই মানুষের আবেগকেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে চরক স্কয়্যার হসপিটেকে। তৈরি হয়েছে ভেজ এবং নন ভেজ পৃথক কেবিন। সবমিলিয়ে বেড ক্যাপাসিটি ৪০০-র অধিক হলেও ২১৮ বেড দিয়ে পথ চলা শুরু হল। এছাড়াও যে কোন স্বাস্থ্য বিমা, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধাও রয়েছে চরক স্কয়্যার হসপিটেকে।