নিজস্ব সংবাদদাতা, নাকাশিপাড়াঃ লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল নাকাশিপাড়া। মঙ্গলবার বিকেলে বীরপুর পঞ্চায়েতের সারবারি গ্রামে নির্দল ও তৃণমূলের একাংশের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তার জেরে দু-পক্ষের পাঁচ জন আহত হয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই রাতেই পুলিশ দু-পক্ষের তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক দোষীদের চোদ্দদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান নাকাশিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক বিশ্বজিৎ ঘোষ।
গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গেলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের হাতে একজন নির্দল প্রার্থীর সমর্থক খবির শেখ খুন হন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ অস্বীকার করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে তৃণমূল পাল্টা দাবি করেছিল। সেই ঘটনায় পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তার করে। সাজা শেষে তারা ফিরে এসে ফের মারামারিতে দোষীরা জড়িয়ে পরে বলে তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ।
ঘাসফুল শিবির এও দাবি করেন, পঞ্চায়েতের নির্দল সমর্থক ‘খুনের বদলা’ নিতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বিপক্ষ শিবিরের দাবি, ” জেল খেটে আসা আমাদের পরিচিতদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল।”
তার থেকেই বচসা থেকে মারামারিতে জড়ায় দু-পক্ষ। তার জেরে পাঁচজন আহত পাঁচ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের মধ্যে চার জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিশ ঘাস ফুল শিবিরের একজনকে ও বিপক্ষ শিবিরের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, ” বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বর্ধমানে স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে আছি।”