(কোভিড থেকে সেরে উঠে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাত লাগিয়েছেন অনীশ। বন্ধুদের সাথে কোভিড রোগীদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে খাবার, ওষুধ, অক্সিজেন।করোনা থেকে সেরে উঠে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে; ভরসা দিচ্ছে কান্দির এই ছাত্রী ) গত ৬ মে আমি করোনা আক্রান্ত হই ২৪ শে মে আমি সুস্থ হয়ে উঠি। করোনা আক্রান্ত হওয়ার ফলে গৃহবন্দি থাকার সময় কিছু অভিজ্ঞতা আমার হয়। আমি সবসময় পাশে পেয়েছি চিকিৎসকদের তার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ, আমি পাশে পেয়েছি আমার কাছের বন্ধুদের। ঠিক সেরকমই কিছু আত্মীয়, কিছু পরিচিত মানুষজন তারা আমার ফোনটাও রিসিভ করেননি; যদি তাদেরকে কোন দরকার এর কথা বলা হয় সেই জন্য। এই বিচ্ছিন্ন মনোভাব সমাজের জন্য খুবই ক্ষতিকারক এতে অনেক করোনা আক্রান্ত রোগী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
তাই সামাজিক দূরত্ব নয় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সর্বোপরি আমাদের উচিত করোনা হলে অযথা ভয় না পেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খাওয়া এবং সঠিক খাবার খাওয়া।
করোনা হলেই অক্সিজেন এর দরকার হয় না, তাই অকারণে অক্সিজেন সিলিন্ডার বাড়িতে মজুত রেখে বাজারে অক্সিজেনের অভাব ঘটানো উচিত নয়।
করোনায় মৃত্যুহার খুবই কম তাই অযথা ভয় না পেয়ে সঠিক চিকিৎসা করানো উচিত।
এই মহামারীর ক্রান্তিকালে সবাইকে সবার পাশে থাকতে হবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং সামাজিক নয় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে তবে মহামারীর বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে আমরা জিতব এবং এই জয় হবে মানবতার মানব সভ্যতার।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমরা বুঝতে পারছি, জীবন কত অনিশ্চিত। কাজেই কাছের মানুষদের সময় দিতে হবে নিজেকেও সময় দিতে হবে । প্রত্যেকটা দিন ভালোভাবে বাঁচতে হবে।
আজকে এক ভাইরাস মানব সভ্যতা কে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এত যুদ্ধবিমান, সামরিক সাজসজ্জা মানুষ বাঁচানোর কোনো কাজেই আসছে না তাই আমাদের সরকারকে ভাবতে হবে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে। শিক্ষা ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে হবে। চিকিৎসা খাতে শিক্ষাখাতে অর্থের পরিমাণ বাড়াতে হবে। দেশের মানুষ না বাঁচলে শিক্ষিত না হলে কাদের জন্য সামরিক ব্যবস্থা থাকবে ? মন্দির-মসজিদ না বানিয়ে ক্লাবে ক্লাবে দান-খয়রাতি না করে প্রতিটা মানুষের খাদ্য চিকিৎসা কর্মসংস্থানের দায় সরকারকে নিতে হবে।
আমার অসুস্থতার সময় আমি কান্দির রেড ভলেন্টিয়ারদের সর্বতোভাবে আমার পাশে পেয়েছি। আমি নিজেও রেড ভলেন্টিয়ার এর একজন সদস্য । সুস্থ হওয়ার পর আমার মা-বাবার উৎসাহে এবং নিজের রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে আবার কান্দি ভলেন্টিয়ার এর কাজে যোগ দিয়েছি। আপনারাও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে আসুন। প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ান। সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন একে অন্যের পাশে থাকুন। এ লড়াই আমরা জিতবই।
(মতামত লেখকের নিজস্ব)