বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। এবার বিতর্ক হুমায়ূন কবীরের ৬০ বছর পুর্তির অনুষ্ঠান ঘিরে। গত ৩রা জানুয়ারি তাঁর বিধানসভার সালার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাংলাদেশের শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিশাল কেক কাটার অনুষ্ঠান ও হাজার তিনেক মানুষকে পাত পেরে খাওয়ানোর ব্যবস্থাও ছিল সেদিন। কিন্তু দল এই যাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানকে অনুমোদন করছে না বলে স্পষ্ট জানাচ্ছেন জেলা সভানেত্রী সাওনি সিংহ রায়। তিনি বলেছেন, ” আমাদের সরকারের নাম মা মাটি মানুষের সরকার। আমাদের দল কখনই এসব অনুমোদন করেনা।” এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” হাতের পাঁচটা আঙুল সমান নয়, দলের কেউ যদি নির্দেশ অমান্য করে, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। রাজ্য নেতৃত্ব সব দেখছে, তাঁরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।”
বিধায়কের জন্মদিন পালনের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগেই মমতা ব্যানার্জী থেকে অভিষেক ব্যনার্জীর কলকাতায় নজরুল মঞ্চ থেকে দলের নেতা তথা কর্মীদের অনারাম্বর জীবন যাপন ও চলাফেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু হুমায়ুন আছে হুমায়ুনেই। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মেগা জন্মদিন শো। যদিও হুমায়ূন কবীর বলেছেন, ভোটে জয়লাভের পর কোভিড এসে পড়ায় কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করতে পারেননি এই আক্ষেপ থেকেই ৬০ তম জন্মদিনের আয়োজন করেছিলেন।
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ইস্যু করে ময়দানে ঝাঁপাতে চাইছে বিরোধীরা। এই নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে সিপিআই(এম)। মুর্শিদাবাদ জেলার সিপিআইএম সম্পাদক জামির মোল্লার দাবি, “আসলে এই দলটা এতো দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, এই গন্ধ ঢাকতে যেমন পারভিউম ব্যবহার করে তেমনি এদের কুকর্ম সমস্ত কিছু ঢাকার জন্য এখন জন্মদিন পালন করে জলসা করে গান বাজনা করে মানুষকে এটা শোনাতে চাই এবং খাওয়াতে চাই।”
এই নিয়ে বিজেপির সাংগঠনিক দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “বাংলাদেশ থেকে নায়ক নায়িকা দিয়ে নাচা নাচি করাছে। ওদের দলটাই তো এখন নাচানাচির দলে রূপান্তরিত হয়েছে, কখনও মদন মিত্র নৌকা বিহার করছেন কখন ভরতপুরের বিধায়ক বাংলাদেশ থেকে শিল্পী এনে অনুষ্ঠান করছেন।”
কংগ্রেসও বিধায়কের জন্মদিন পালনের সমারহ দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “সিবিআই যতদিন থাকবে এই সুদ্ধিকরন হবে, গোটা তৃণমূল দলটাকেই এখন পানাপুকুরে সুদ্ধিকরন করতে হবে। এই দলের না আছে মাথা না আছে ল্যাজা। তাই ভরতপুরের বিধায়ক ভাবছে কোটি কোটি টাকা খবর করে জন্মদিন পালন করি অসুবিধা কি আছে।”