মধ্যবঙ্গ নিউজডেস্কঃ নওদা ব্লকে আজ পর্যন্ত পৌঁছায়নি রেলপথ। অথচ ওই এলাকার শয়ে শয়ে মানুষ রেলপথের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু তাদের নিজের এলাকা থেকে শিয়ালদা যাওয়ার জন্য সরাসরি কোনও ট্রেন নেই। তাদেরকে বেলডাঙা স্টেশন থেকে শিয়ালদা যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে হয়। যদি নওদা ব্লক আর বেলডাঙার মধ্যে যদি রেল যোগাযোগ চালু হয় তাহলে প্রায় লাখ চারেক মানুষের উপকার হয়। এলাকারও উন্নতি হবে।
এই দাবি নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণবের দরবারে হাজির হয়েছিলেন বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। এদিনও শাখারভ বলেন, ” রেলমন্ত্রী বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।”
এর আগে সাটুই চৌরিগাছা থেকে সালার পর্যন্ত রেল চলাচলের জন্য তদ্বির করতে রেলমন্ত্রীর কাছে ছুটে গিয়েছিলেন শাখারভ। সেই কাগজপত্র রাজ্যকে পাঠিয়ে জমির খোঁজ চেয়েছে রেলমন্ত্রক, দাবি বিজেপি সভাপতির।
এদিকে বিজপি’র অন্দরে শাখারভের ঘন ঘন বহরমপুর থেকে দিল্লি যাওয়ার বিষয়টি নজর এড়ায়নি। অনেকেরই প্রশ্ন ” বহরমপুর লোকসভায় কি প্রার্থী হচ্ছেন শাখারভ?” বহরমপুর কেন রাজ্যের কোনও লোকসভাতেই কে প্রার্থী হবেন তা ঘোষণা করেনি কোনও দলই। তবে বিজেপি সমর্থকদের অনেকেই জানিয়েছেন ” গত লোকসভা নির্বাচনের মতো বহরমপুরে যেন বহিরাগত কাউকে প্রার্থী না করে দল।”
২০২৪-এ বিজেপি প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম দেখাটা আশ্চর্য্যের কিছু নয় বলছেন শাখারভ ঘনিষ্ঠ এক নেতা। শাখারভ অবশ্য বলেন, ” মানুষের সুবিধার জন্য আমাদের দল বিজেপি কাজ করে চলে। কোনও কিছু পাওয়ার জন্য কেউ কিছু করে না। এই কাজের সঙ্গে দলীয় প্রার্থী হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।” তবে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে শাখারভ বলেন, ” দল যদি মনে করে আমাকে প্রার্থী করবে তো করবে এখানে আমি কিছু বলতে পারি না। তবে এটা মনে রাখবেন এবার বহরমপুর লোকসভায় বিজেপি’র জবরদস্ত প্রার্থী লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে অবসরে পাঠাবেন।”