নিজস্ব সংবাদদাতা, সাগরদীঘিঃ মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘি থানার মথুরাপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর ৪০-এর সেলিম সেখ। যিনি পেশায় ফেরিওয়ালা। পুরুলিয়ার মানবাজার নামক জায়গা সাইকেলে করে বিক্রি করতেন জামা-কাপড়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সেলিম সেখ। বুধবার দুপুরে সেলিম বেড়িয়ে ছিলেন ফেরি করতে। এবং সেখানেই ঘটে তাঁর সাথে বিপত্তি। বুধবার মাঝ রাস্তায় হয় স্ট্রোক। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে জানান চিকিৎসক।
প্রায় তিন মাসে আগে বাড়ি এসেছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন না এটাই তাঁর শেষ বাড়ি আসা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর আকস্মিত মৃত্যুতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মাথায়। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, মোট ৮ জন সদস্য রয়েছে। এখনও বাড়িতে এসে পৌঁছায়নি মৃতদেহ।
মুর্শিদাবাদের মতন প্রান্তিক জেলা যেখানে সিংহভাগ মানুষ এক চাষের সঙ্গে জড়িত না হয় পরিযায়ী শ্রমিক। এর মধ্যে বেশিরভাগই কাজ করেন ফেরিওয়ালা বা রাজমিস্ত্রির। রোদ, বৃষ্টি, শীতকে উপেক্ষা করে রোজ জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার লড়ায় চালিয়ে যাচ্ছেন। একটু বেশি টাকা উপার্জন এবং সংসার যাতে বাধাহীনভাবে চলে সেই আশায় নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাথায় গামছা বেঁধে রোজ নেমে পড়েন কর্মক্ষেত্রতে। এবং সেখানেই নানান সমস্যার মধ্যদিয়ে যেতে হয় তাঁদের।