Psammophis condanarus ২০০ বছর লোকচক্ষুর আড়াল। ফারাক্কায় স্যান্ড স্নেকের সাক্ষাৎ

Published By: Imagine Desk | Published On:

Psammophis condanarus বুধবার দুপুরে ফারাক্কার ২ নম্বর নিশিন্দা কলোনিতে উঠোনের মাটির গর্তে এক বিরল  সাপের দেখা পাওয়া গেল। ইন্ডিয়ান স্যান্ড স্নেক নামে পরিচিত এই সাপটির বৈজ্ঞানিক নাম স্যামোফিস কন্ডেনারুস Psammophis condanarus  । প্রথমে সাপটিকে দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীরা হতবাক হয়ে পড়েন। আতঙ্ক কাটিয়ে তাঁরা খবর পাঠান সর্পবিশারদ প্রলয় চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। প্রলয় তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপটিকে উদ্ধার করেন। এরপর অন্যান্য সর্প বিশারদদের সঙ্গে পরামর্শ করে ‘স্কেল কাউন্ট’ পদ্ধতিতে সাপটির প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

Psammophis condanarus প্রলয় চট্টোপাধ্যায় জানান, সাপটির পেটের অংশে হলুদ-সাদা এবং গায়ের উপর বাদামি রঙের দাগ রয়েছে। প্রথমে সাপটিকে নির্বিষ বেত আছড়া বলে মনে হয়েছিল। তবে বিশদে পর্যবেক্ষণ করার পর তাঁর সন্দেহ হয়। প্রমাণ সংগ্রহের জন্য সাপটির কয়েকটি ছবি তুলে পাঠানো হয় বিশেষজ্ঞদের কাছে। পরে জানা যায়, এটি বিরল প্রজাতির মৃদু বিষধর সাপ, যদিও এটি মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়। মূলত গিরগিটি, টিকটিকি এবং ছোট ব্যাঙ খেয়ে বেঁচে থাকে এই সাপটি।

Psammophis condanarus বিরল প্রাণীর খবর- আরও পড়ুন- বিরল প্রজাতির কচ্ছপ কিনে, বনদপ্তরের হাতে তুলে দিলেন রানিতলার পিন্টু!

Psammophis condanarus  সর্পবিশাররা দ জানান, ১৭৯৬ সালে ব্রিটিশ সর্পবিশারদ রাসেল অবিভক্ত বাংলায় এই প্রজাতির সাপের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন এবং এর ছবি এঁকেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ১৮২০ সালে বৈজ্ঞানিক মেরেম এটির বিজ্ঞানসম্মত বর্ণনা প্রদান করেন। এই প্রজাতির সাপ ওড়িশার গঞ্জাম অঞ্চলেও দেখা গিয়েছিল, তবে বাংলায় এমন প্রজাতির সাপ কখনও উদ্ধার হয়নি বলে প্রলয় চট্টোপাধ্যায়ের দাবি।

Psammophis condanarus ভারতে সম্প্রতি হিমালয়ের Himalayas  পাদদেশ, মধ্যভারত এবং দক্ষিণ ভারতের পূর্বঘাট পর্বতে ইন্ডিয়ান স্যান্ড স্নেকের অস্তিত্ব মিলেছে। এমনকি ২০১৭ সালে বাংলাদেশেও Bangladesh  প্রথমবার এই প্রজাতির সাপ পাওয়া গিয়েছিল। উদ্ধারকৃত সাপটি স্থানীয় পরিবেশে রক্ষা করার জন্য কাছের এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রলয় জানান, ‘‘বিরল প্রজাতির এই সাপটিকে প্রকৃত পরিবেশে রাখতে হবে, যাতে তার বংশবৃদ্ধির সুযোগ পায়। গ্রামবাসীরাও সাপটি নির্বিষ এবং বিরল বলে জানতে পেরে সেটিকে নিরাপদে রাখতে সম্মতি দেন।’’