বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ সকাল পৌনে দশটায় পরীক্ষায় হাজিরা দেওয়ার ফরমান জারি করছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সময়ে শ্রেণীকক্ষে পৌঁছতে দূরের পড়ুয়া তো বটেই ঘরের কাছে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর জন্য সকাল আটটাতে প্রস্তুত পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে দৌড়ঝাঁপ করতে করতে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন অভিভাবকরা।
আজ শুক্রবার সকাল থেকেই কুয়াশায় ঢাকা আকাশ। মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথমদিন বাংলাভাষার পরীক্ষা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রথম দিনের প্রথম পরীক্ষায় পৌঁছতে দেরি যাতে না হয় তাই ভোরেই ঘুম থেকে উঠে পড়েছে মেঘা মণ্ডল। তাঁর বাবা কিশোর তারস্বরে বললেন, “মগের মুলুক হয়ে উঠেছে রাজ্যটা। যা খুশি তাই করছে। ছেলেমেয়েদের কষ্টটুকু বোঝার অবকাশ নেই সরকারের।”
অন্যবার বেলা বারোটায় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হত তিনটেতে। এবার দু ঘন্টা সময় এগিয়ে আসায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে সকাল দশটায়। শেষ হবে একটায়। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর পনেরো মিনিট আগে হলে প্রবেশ করতে হবে, তাই আরও পনেরো মিনিট এগিয়ে আনা হয়েছে। খাগড়া জিটিআই স্কুলে গোড়াবাজার আইসিআই স্কুলের পাঠরত ছেলেকে নিয়ে আজাদ উদ্দিন বিশ্বাস এসেছেন ভাকুড়ি থেকে।
তিনি নিজেও শিক্ষক। দাবি করলেন, “সকালে যে একবার বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়ে আসবে সেটুকু সময় পেল না।” পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আর এক অভিভাবক সোমনাথ সাহা বললেন, “রাত জেগে পড়া এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের অভ্যাস। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে। আজ আটটা দশে বেড়িয়ে আসতে হল।” মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এগিয়ে আসায় ক্ষুব্ধ নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সংগঠন। মুখে কুলুপ এঁটেছেন তৃণমূল শিক্ষক সংগঠন ও