Kandi SD Hospital: কান্দী হাসপাতালে নার্স নিগ্রহে গ্রেপ্তার চার, ‘নিরাপত্তাহীনতা’

Published By: Imagine Desk | Published On:

                              ডাক্তার, নার্সদের নিয়ে হাসপাতালে বৈঠক 
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ দুর্গাপুর, এসএসকেএম হাসপাতাল কাণ্ডের পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নবান্নে শনিবার রাজ্য সরকার মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে সব হাসপাতালের সুপার, মেডিক্যাল কলেজগুলির অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠক করে। তাতে ফোনে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সেই বৈঠকে হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে বলা হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মী, ঠিকাদার নিয়োগে পুলিস ভেরিফিকেশন (যাচাই) বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে। ঠিক সেই দিন কান্দী মহকুমা হাসপাতালে (Kandi SD Hospital) নার্সকে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পর সেখানকার নার্সরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে জানান। কান্দী থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনায় রবিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে ডাক্তার, নার্সদের নিয়ে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনই ওই ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করে কান্দী থানার পুলিস।

আরও পড়ুনঃ Kandi Hospital কান্দি হাসপাতালে ধুন্ধুমার ! নার্সদের কী অভিযোগ ?

Kandi SD Hospital
Kandi SD Hospital কান্দী হাসপাতালের সিস্টার ইন চার্জ শুক্লা সিনহা এদিন বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কারণ আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব দুর্বল। কোনও রোগী এলে আমরা রোগীকে পরিষেবা দিতে দৌড়ে যেতে পারি না। কারণ এতো ভিড় থাকে রোগীদের সঙ্গে! দিন বা রাত বলে কিছু নেই। সব সময় দল বেঁধে ঢুকে যান। রোগীর পরিস্থিতি অনুযায়ী সঙ্গে লোক আসেন তা নয়। একটু ভালো রোগীদের সঙ্গে দু’জন, খারাপ হলে সঙ্গে চার জন এলেন, তা নয়। ফলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগী। কালকের এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আরও বেশি নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে। এই ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা চাই যেন সুস্থ পরিবেশে সুস্থ ভাবে নিরাপত্তার সঙ্গে পরিষেবা দিতে পারি।
Kandi SD Hospital কান্দি হাসপাতালের কার্যনির্বাহী সুপার চিকিৎসক অভীক দাস বলেন, কালকের ঘটনায় সিস্টারদের উপরে আঘাত করা হয়েছে। হাসপাতাল ভাংচুর হয়েছে। ডাক্তারের উপর রোষ প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় দুজন নার্স লিখিত অভিযোগ করেছিলেন, তা থানায় ফরোয়ার্ড করা হয়েছে। পুলিস সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এই জাতীয় ঘটনা ঘটলে আমাদের নিজস্ব আস্থা যেমন হ্রাস পায়, আমরা প্রকৃত পরিষেবা দিতেও সব সময় হয়তো পারি না। প্রকৃত দোষীর অনুসন্ধান হলে আমরা নিরাপত্তাহীনতা কাটিয়ে উঠতে পারব।

Kandi SD Hospital
Kandi SD Hospital চিকিৎসক পঙ্কজ সাহা বলেন, আমি মহিলা ওয়ার্ডে সেই সময় কর্তব্যরত ছিলাম। আমি প্যাসেজে ছিলাম। দেখলাম প্রচুর লোক একসঙ্গে চলে আসছেন। ৩০-৪০ জন তো হবেই। তার মধ্যে মহিলা ছিলেন বেশি। আমি যখন রোগী দেখার চেষ্টা করছি আমাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নীচে থেকে যখন তুললেন তখন একটা অন্তত…সিস্টাররা কী করবেন? সিস্টারদের তো হাতে কিছু নেই। অক্সিজেন দিয়েছেন। কিন্তু বাকি চিকিৎসার অংশ শুরু করার জন্যে কাগজ আসেনি। সাইনবোর্ডটা আসেনি। সেটা আসার দরকার ছিল।

Kandi SD Hospital
Kandi SD Hospital প্রোগ্রেসিভ হেলথ এ্যাসোসিয়েশনের রাজ্যের সহ সম্পাদক ড. সুমন বিশ্বাস বলেন, ওয়ার্ডে একটা রোগীর সঙ্গে হয়তো পাঁচ জন ঢুকে পড়ছেন। হাসপাতাল সবার জন্যে। সুশৃঙ্খলভাবে আসতে হবে। সেভাবেই যেন সবাই পরিষেবা নেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সব জায়গাতেই জোরদার করা হয়েছে। এরপরেও যদি মনে হয় কোথাও কিছু ঘটছে তাহলে সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে প্রাক্তন সেনা কর্মী নিরাপত্তায় রয়েছেন। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যে খুব গাফিলতি রয়েছে তা নয়। এই হাসপাতালে সিটিস্ক্যান বসতে চলেছে, ডায়ালিসিস সেন্টার শুরু হতে চলেছে।