Nowda TMC গনইস্তফার হুঁশিয়ারি! নওদায় বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতির দ্বৈরথ প্রকাশ্যে আসতেই নয়া মোড়!

Published By: Imagine Desk | Published On:

Nowda TMC নওদায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতির দ্বৈরথ প্রকাশ্যে আসতেই অভিযোগ- পাল্টা অভিযোগে সরগরম নওদার মাটি। নওদায়  ব্লক অফিসে কর্তব্য রত সরকারী কর্মীকে মারধরের অভিযোগে  গ্রেপ্তার করা হয় নওদা পঞ্চায়তে সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ তমাল সেখকে। ব্লক অফিসের মধ্যে  ব্লকের ক্যাশিয়ার তন্ময় দাসকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে ধৃত কর্মাধ্যক্ষ। ধৃত তমাল সেখকে শনিবার বহরমপুর সিজেএম কোর্টে তোলা হয়। প্রিসন ভ্যানে বসেই এদিন তমাল সেখ বলেন – “সভাপতি সহ কয়েকজন কাজের বিষয়ে গিয়ে ক্যাশিয়ারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। সেই নিয়ে অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে। আইন আইনের মতো চলবে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই হবে, সিসিটিভি ফুটেজ আছে।”

Nowda TMC ঘটনার প্রতিবাদেই এবার নয়া মোড় ! নওদার তৃণমূল থেকে জয়ী জনপ্রতিনিধি ও বুথ সভাপতি , কর্মাধ্যক্ষ তমাল সেখ গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তাঁদের পদ থেকে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। নওদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহিদুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ” শুধু কর্মাধ্যক্ষ নয় আমার নামেও অভিযোগ হয়েছে। সেই অভিযোগের জন্য যদি আমাদের গ্রেপ্তার হতে হয় তাহলে আমরা নওদার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ সদস্য ১০ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও মেম্বার যত আছেন প্রত্যেকে রিজাইন দেব।” তিনি আরও বলেন, ” আমাদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সফিউজ্জামান রাত দিন মানুষের কাজ করেন। এতকিছুর পরেও বিধায়ক সাহিনা মমতাজের কথা শুনে যদি সেখানে প্রশাসন আমাদের হেনস্থা করে, আমাদের কর্মাধ্যক্ষদের গ্রেপ্তার হতে হয় তাহলে আমাদের এখানে কাজ না করাই ভালো। আমরা দলকে জানাব, দল যদি এর কোন ব্যবস্থা না নেই তাহলে আমরা দল থেকেও ইস্তফা দেব।”

Nowda TMC শনিবার নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সফিউজ্জামান সেখের উপস্থিতিতে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন নওদার তৃণমূল নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিরা। আর এই চক্রান্তের পেছনে নওদার বিধায়কের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন বিদ্রোহীরা। তাদের দাবি, নওদার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারিকেরা ব্লক সভাপতির পাশে থেকে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ছোড়েন নওদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি সফিউজ্জামান সেখ। তিনি বলেন, ” তাঁর কেন কোন খবর পাওয়া যায় না? কেন তাঁকে দেখা যায় না? দলের সমস্ত কর্মকাণ্ডে ব্লক সভাপতি হিসেবে আমার সাথে যারা থাকেন তাঁদের নিয়ে পরিচালনা করি। শুধু মানছি না , মানব না এই গল্প শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ১৮ ই জুলাই যেদিন আমার নাম ঘোষণা হয়, সেদিন থেকেই চেয়ার পোড়ানো হয়েছে। অনেক মেকি নাটক করা হয়েছে, আমরা কোনদিন কোন মঞ্চে বলিনি যে বিধায়ক মানব না, মানছিনা! আসলে তিনি জমি হারিয়েছেন, নওদার মানুষ জবাব দেবে এটা আমার বিশ্বাস।”

Nowda TMC বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতি দ্বৈরথ প্রকাশ্যে আসে ১০ ই জানুয়ারি। এদিনই বহরমপুরে সরকারী অনুষ্ঠানে এসে ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন নওদার বিধায়ক সাহিনা মমতাজ খান। নওদা ব্লক অফিসের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ” এলাকাকে অশান্ত করছেন ব্লক সভাপতি। বিধায়ক হিসেবে তাঁকে মানেনই না। বিডিও এবং কর্মচারীরা ফোন করে ব্লক অফিসের ঘটনা জানান। নতুন কোষাধ্যক্ষকে পছন্দ না হওয়ায় হুমকি দেওয়া হয়। দলকে জানানো হয়েছে। ব্লক সভাপতি সব করছেন, নানান ভাবে অত্যাচার করছেন।”

আরও পড়ুন- Nowda TMC গ্রেফতার নওদার কর্মাধ্যক্ষ ! কী অভিযোগ ? 

 

Nowda TMC শুক্রবার বিকেলেই বহরমপুরে ব্যারাক স্কোয়ারে সরকারী অনুষ্ঠানের মাঠে ব্লক সভাপতি সফিউজ্জামান সেখের গাড়ি তল্লাশি করে বহরমপুর থানার পুলিশ। তাঁর গাড়িটিও দীর্ঘক্ষণ পরে থাকে  মাঠের মধ্যেই। ব্লক অফিসের এই ঘটনা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয় কংগ্রেস। ১০ ই জানুয়ারি- বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে নওদা ব্লক তৃণমূল সভাপতিকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ” যাকে খুশি তাঁকে সে মেরে চলেছে। ব্লকের ক্যাশিয়ারকে মারধর করেছে। কী চলছে বাংলায়! তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ ব্লক অফিসে যাকে খুশি তাঁকে মারার অধিকারী!”

Nowda TMC বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতির দ্বৈরথ নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির! আগামী দিনে কী অবস্থান হবে তৃণমূলের? উঠছে প্রশ্ন!