দেবনীল সরকার, নশীপুরঃ মুম্বই প্রবাসী প্রমিস চৌধুরী বড়দিনের ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। লালবাগের রেজিস্ট্রি মোড়ে তাঁর বাড়ি। তিনি মা কে নিয়ে চলে এসেছেন নশীপুর রেল সেতু দেখতে। আবার বহরমপুরের খাগড়ার বাসিন্দা উত্তম পাল কাঠগোলার বাগানে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন পরিবারের সঙ্গে। সেখান থেকে ছেলেকে নিয়ে চলে এসেছেন স্বচক্ষে নশিপুর রেল সেতু দেখতে।
এভাবেই ২০২৩-এর শেষ ল্যাপে পিকনিকের মরশুমে পর্যটকদের কাছে মুর্শিদাবাদ জেলার নয়া পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে নশীপুর রেলসেতু। এই রেলসেতুর নীচ দিয়ে চলে গিয়েছে ভাগীরথী নদী। সেতুর দুপাশে চাষের জমি। হলুদ ফুলে ভরেছে চারপাশ। আর সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকেই মানুষজন বেছে নিয়েছেন পিকনিক স্পট হিসেবে। তাঁদের কথায় রথ দেখা কলা বেচা দুইই হচ্ছে। একই সঙ্গে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান চাইছেন তাঁরা।
মুর্শিদাবাদ ও আজিমগঞ্জকে এখনও জুড়তে পারেনি রেল। তবে নশীপুর রেলসেতুর কাজ প্রায় শেষ ল্যাপে। মাস চারেক আগে জমি জট কাটিয়ে শুরু হয়েছিল দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা এই রেলসেতুর কাজ। অনেকেই ভেবেছিলেন ডিসেম্বরেই বহু আলোচিত এই রেল সেতু দিয়ে ছুটবে দার্জিলিং মেল।
নশীপুর রেল সেতুতে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। দেবনীল
যদিও তা সত্যি হল না তেইশে। তবে রেল লাইন পোঁতার কাজ প্রায় হয়ে গিয়েছে। মাস দুয়েকের মধ্যেই হয়ত সেই লাইন দিয়ে ছুটবে ট্রেন। দূরত্ব কমবে উত্তর ও মধ্যবঙ্গের। তার আগে জোর কদমে চলছে শেষ প্রস্তুতি জানালেন ওই সেতুতে কর্মরত ঠিকা শ্রমিক সেন্টু দাস। এই জেলারই ছেলে সেন্টু। তিনি নিজেও চাইছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সেতু দিয়ে ছুটুক রেল। রেল মানচিত্রে উঠুক নশীপুর রেলসেতুর নাম। অধরা স্বপ্ন সফল হোক চব্বিশেই, চাইছেন জেলাবাসীও।