Murshidabad News তামাক পাতার উপর লাগু হচ্ছে ৪০% জিএসটি । এতে বাড়বে বিড়ি শিল্পে উৎপাদন খরচ। কেন্দ্রের ‘নেক্সট-জেনারেশন GST সংস্কার’ এর বিরোধিতায় একজোট কংগ্রেস সাংসদ থেকে তৃণমূলের বিড়ি মালিক সাংসদ। একজোট বিড়ি মালিক থেকে বামপন্থী বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও ।
Murshidabad News বিড়ি মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজকুমার জৈন দাবি করেছেন, জিএসটি বাড়লে উৎপাদন কমবে। বিক্রি কমবে। কাজ হারানোর শঙ্কা! মুর্শিদাবাদ জেলাতেই আছে ২০ থেকে ২১ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক। জঙ্গিপুর মহকুমাতেই যে সংখ্যাটা প্রায় ১১ লাখ। বুধবার ধুলিয়ানের অরঙ্গাবাদে বিড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনে বিড়ি শ্রমিক ও শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত । তাই ডাকা হয় এই বৈঠক ।
Murshidabad News বৈঠকে হাজির ছিলেন জঙ্গিপুরের বিড়ি মালিক সাংসদ খলিলুর রহমান Khalilur Rahaman থেকে মালদা দক্ষিনের কংগ্রেস সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী Isha Khan Chowdhury । তৃণমূল কংগ্রেসের সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। ছিলেন থেকে বিড়ি মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বিড়ি নিয়ে এক সুর শোনা গিয়েছে ঈশা খান চৌধুরী এবং খলিলুর রহমানের গলায়। খলিলুর রহমান বলছেন, বিড়ির উপর এই রকম জিএসটি চাপিয়ে দেওয়া চলে না।
Murshidabad News স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, দীপাবলির আগেই দেশে আসছে ‘নেক্সট-জেনারেশন GST সংস্কার’। পণ্য ও পরিষেবা কর কাঠামোয় বড়সড় পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে মোদী সরকার। নতুন এই প্রস্তাব অনুযায়ী দু’টি স্ল্যাব রাখা হবে GST-র। ৫% ও ১৮%। তবে তামাক ও পান মসলার মতো ক্ষতিকর পণ্যের কাঁচা মালেড় উপর ৪০% GST ধার্যের সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, এই প্রস্তাব GST কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেপ্টেম্বর মাসে কাউন্সিলের দু’দিনের বৈঠকে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরই বিরোধিতায় বিড়ি শ্রমিক সংগঠনগুলিও। আরএসপির বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের নেতা নিজামুদ্দিন আহম্মেদ , সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুর বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মহম্মদ আজাদরা আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
Murshidabad News বিড়ি শ্রমিকদের বর্তমান মজুরি হাজার বিড়ি পিছু ২০২ টাকা। যদিও সরকার ঘোষিত নূন্যতম মজুরি ২৬৭ টাকা। ২০২৪ এর সেপ্টেম্বর মাসে শেষ বারের মতো বেড়েছে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি । মূল্যবৃদ্ধির আবহে এতো কম মজুরিতে সংসার চালানো কঠিন বিড়ি শ্রমিকদের পক্ষে। এর বাইরেও শ্রমিকদের আছে অনিয়িমত কাজ, ছাঁট পট্টি বিড়ির মতো সমস্যা। আছে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে সামাজিক সুরক্ষার অভাব। নয়া জিএসটির কী প্রভাব পড়ে এই শ্রমিকদের উপর ? সেদিকে নজর সব পক্ষের ।