Municipality Recruitment Case দমদম পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড সামনে আসার পর। সেই নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার বহরমপুরে (Berhampore) সাংবাদিক বৈঠক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করেন অধীর চৌধুরী। অধীরের সাফ দাবি রাজ্যে তৃণমূল পরিচালিত সমস্ত পৌরসভায় দুর্নীতি হয়েছে। মমতা ব্যানার্জীর ক্ষমতা নেই তাদের বিরোধিতা করার। তিনি আর বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটা পৌরসভা দুর্নীতিগ্রস্থ। প্রতিটি পৌরসভায় কারচুপি হয়েছে। একটা না পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটা পৌরসভা”। একই সঙ্গে তিনি মমতা ব্যানার্জীকে আক্রমণ করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ক্ষমতা নেই, সেই সমস্ত পুরসভার পক্ষে নিরপেক্ষ কোন তদন্ত করবার”। এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে শহরে শহরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরছে বলেন অধীর চৌধুরী।
অধীরের বয়ানে বেজায় চটেছে তৃণমূলও। অধীরের দিকে পৌরসভা পরিচালনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগাঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার। অধীরের এক সময়ের সঙ্গী, কান্দির বিধায়ক অপূর্বের দাবি, পৌরসভায় নিয়োগেও দুর্নীতি করেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “আপনার যদি কোনরকম অভিযোগ থাকে অধীর বাবু। আপনি নিশ্চিতভাবে লিখিত জমা দেবেন। আর আপনার যদি হিম্মত থাকে, সৎ সাহস থাকে। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বহরমপুর পৌরসভা আপনি চালিয়েছেন তার একটা নিরপেক্ষ তদন্ত আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করছি। যত নিয়োগ হয়েছে এই পৌরসভায় আপনার ক্লাব এবং আপনার বাড়ি পাহাড়া দিয়েছেন তারা”।
একই সুরে অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেন বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জীও । অধীর চৌধুরীরের বিরুদ্ধে পৌরসভায় নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তিনিও। পাশাপাশি তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জীর আমলে পৌরসভার যে সমস্ত সংস্কার হয়েছে। সেই সম্পর্কে অধীর বাবু জানেন না। আর অধীর চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে বহরমপুর পৌরসভা চালিয়েছেন। যেখানে লক্ষ লক্ষ লোক ঢুকিয়েছেন কিন্তু গ্র্যাচুইটি দেন নি। সেগুলো মমতা ব্যানার্জীর আমলে দেওয়া হচ্ছে। এবং মিউনিসিপাল সার্ভিস কমিশন তৈরি করে যোগ্য মানুষদের কাজ দেওয়া হচ্ছে”।
লোকসভা ভোটের ফল সামনে আসতে দেখা যায়, শহর এলাকায় পিছিয়ে তৃণমূল। এর মাঝেই পৌরসভায় দুর্নীতি তরজায় জমজমাট রাজনীতি।