গর্জেছিলেন কিন্তু বর্ষালেন না। ইতি টানলেন বিরোধিতায়। বিদ্রোহী হুমায়ুনের অবশেষে মূষিক প্রসব । ১০ মার্চ ব্রিগেডের জনজয়ার থেকে বহরমপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে ক্রিকেট তারকা ইউসুফ পাঠানের নাম ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। ১১ তারিখই ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবির সরব হয়েছিলেন লোকসভা আসনে ইউসুফের নির্বাচন নিয়ে। হুমায়ুনের গলায় ছিল, অভিমানের সুর। ১৬ মার্চ বহরমপুরে ফিরহাদ হাকিমের বৈঠকেও যোগ দান নি হুমায়ুন। বৈঠকের পর এদিন বেসরকারী হোটেলে হুমায়ুন কবিরের সাথে আলোচনা করেন ফিরহাদ । তবে বিদ্রোহে ইতি দেবেন না বলেই জানান হুমায়ুন। ফিরহাদ হাকিমের সাথে বৈঠকের পর হুমায়ুন বলেন, “ আমি কী বলতে চাইছে নেতৃত্ব জানেন। আমি কী করবো আমিও জানি”।
হুমায়ুন বৈঠকের পর বেড়িয়ে বলেছেন , “ আমি কারো হয়ে ( ভোট প্রচারে) নামবো না। আমি কার হয়ে নামবো নাকি নিজের হয়ে নামবো সেটা সময়ই বলবে”। ইঙ্গিত দিয়েছেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোর।
তবে অবশেষে বিদ্রোহে ইতি। বুধবার দুপুরে সোস্যাল মিডিয়ায় ভিডিও প্রকাশ করে হুমায়ুন দাবি করছেন , ১৯ তারিখ সন্ধ্যায় দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সাথে কথা হয়েছে তার। সেই মতো তৃণমূলের প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে সমর্থন করবেন বলে জানান তিনি।
তবে এর মধ্যেই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন হুমায়ুন। দিল্লি থেকে ফিরে নির্বাচনের প্রচারে নামবেন বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন।
হুমায়ুন জানিয়েছেন, ১১ তারিখ থেকে ১৮ মার্চ অবধি নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন হুমায়ুন। তবে “সাত দিনের বিরোধিতায়” ইতি টেনেছেন তিনি। জেলায় ফিরে শুরু করবেন ইউসুফের ভোট প্রচার।