CMOH নিগ্রহ: গুরু পাপে লঘু সাজা ? কার চাপে ? ক্ষুব্ধ আইএমএ, চিকিৎসকরা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ  মুর্শিদাবাদ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা : সন্দীপ সান্যালের ওপর হামলার ঘটনায় জেলা জুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড় । বৃহস্পতিবার  বিধায়ক নিয়ামত শেখ  ও জেলা পরিষদের  সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাসের সামনেই নিগ্রহের  ঘটনা ঘটে । সিএমওএইচ ডাঃ সন্দীপ সান্যালের উপর চড়াও হন  আসা মানুষ।    শুক্রবার বেলডাঙ্গা থেকে কান্দি সর্বত্র হাসপাতালে প্রতিবাদে সরব হলেন স্বাস্থ্য কর্মীরা । দুষ্কৃতীদের হাতে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বেলডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে ধিক্কার জানান স্বাস্থ্য কর্মীরা। একই ছবি দেখা যায় কান্দিতেও । কান্দিতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মিছিল করেন । নওদাতেও সিএমওএইচ এর উপর হামলার প্রতিবাদে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য কর্মীদের মিছিল হ য়। শুক্রবার দুপুরে নওদার আমতলা গ্রামীণ হাসপাতাল প্রাঙ্গন থেকে গোটা বাজার এলাকায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কালো ব্যাজ পরে মিছিলের মাধ্যমে প্রতিবাদে জানান। সি এম ও এইচ এর ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

অন্যদিকে হামলাকারীদের উপর দুর্বল ধারা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে চিকিৎসক সংগঠক আইএমএ। বহরমপুর আইএমএ সম্পাদক ডাঃ রঞ্জন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, উপরমহলের চাপেই দুর্বল ধারা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ থেকে নাম বাদ পড়েছে বিধায়ক, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতির।

রীতিমতো উদাহরণ টেনে রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,    যদি আপনার সামনে কেউ খুন হয়ে থাকেন এবং আপনার ছুতিতে যদি রক্তের দাগ লেগে থাকে তাহলে বোঝাই যাচ্ছে খুন টা সম্ভবত আপনিই করেছেন। এখানে ক্যামেরা বন্দি আছে কেউ পালিয়ে যাতে পারবেন না, অন ক্যামেরাই আছে কারা এই জিনিস গুলো করেছেন এবং মাননীয় বিধায়ক এবং তার সাথে সভাধিপটি এই দুজন ছিলেন তাদের সামনেই প্ররোচনায় এই সমস্ত বিষয়টি ঘটেছে । তাই তাদের প্রতি যদি আইনানুক ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে কিন্তু পরবর্তীকালে চিকিৎসকদের মনোবল বলতে কিছু থাকবে না। তাতে কিন্তু আখেরে  জনসাধারনের ক্ষতি হবে।

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ওপর নিগ্রহের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার বহরমপুর কোর্টে তোলা হয়। ১৬ দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  যদিও এখানেই শেষ নয়। জেলার মানুষ চাইছেন, এই ধরনের ঘটনার সমাপ্তি হোক এখানেই। যারা এই ধরনের আক্রমণাত্বক আচরনের চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হোক কঠোর শাস্তি । যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।