নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ সন্দেশখালি (Sandesh Khali) কান্ডের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বুধবার টাকিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজিপি’র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধবস্তির সময় এই ঘটনা ঘটে বলে বিজিপি’র দাবি। তার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বহরমপুরে এসপি অফিসে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি’র বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চা। সেই কর্মসূচিতে গিয়ে আহত হয়ে পড়েন জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার। বিজেপি’র দাবি, পুলিশের লাঠির আঘাতে শাখারভ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দলের জেলা সম্পাদক মলয় মহাজন বলেন, “ পুলিশের ব্যারিকেড টপকাতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন শাখারভ। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তাঁকে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। যদিও দলীয় সূত্রে খবর, কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের উদ্দেশ্যে শাখারভ নিয়ে রওনা দিয়েছে অ্যাম্বুলেন্স।
বৃহস্পতিবার বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে দুপুর দেড়টা নাগাদ জমায়েত হয়েছিলেন বিজেপি-র নেতা কর্মীরা। মঙ্গলবারের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা রেখেছিল মুর্শিদাবাদ পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার দু’জন আইপিএস অফিসার ছাড়াও ছিলেন চারজন ডিএসপি, বহরমপুর ছাড়াও একাধিক থানার আইসি সহ প্রায় বিশ জন পুলিশ আধিকারিক ছিলেন। এদিন সাদা পোশাকে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার দুজন আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ব্যরাকস্কোয়ার সহ তিন দিক থেকে পুলিশ ঘিরে রেখেছিল টেক্সটাইল মোড়, দাবি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টারের।
এদিন তিনটি স্তরে সাজানো হয়েছিল পুলিশের ব্যারিকেড। দুটি ভাগে ভাগ করা গার্ডরেলের সামনে ছিলেন ডিএসপি আইসিরা। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা প্রথম দুটি গার্ডরেল ভেঙে তৃতীয় ধাপে যেখানে শাল কাঠ ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ব্যারিকেডে পৌঁছে যায়। তখনই পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি সদস্যরা। সেই সময় প্রায় দেড় মানুষ উঁচু ব্যারিকেড টপকাতে গিয়েই আঘাত পান শাখারভ। যদিও পুলিশের লাঠির আঘাতে শাখারভ আহত হয়েছেন বলে উপস্থিত বিজেপি নেতারা দাবি করলেও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।
তবে একইদিনে জঙ্গিপুরে বিজেপির একই কর্মসূচিতেও পুলিশের সঙ্গে দলের কর্মী সমর্থকদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হলেও ওই জেলার পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বলে জানান জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ।