নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ বিজেপি কার্যকর্তাদের ভয় দেখিয়ে মারধর করে বিজেপির মুখ আটকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। এইরকম হামলা হলে বাড়িতে সিবিআই যাবে বলে কার্যত তৃণমূলকে শনিবার হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। ভরতপুরে টেঁয়ায় দলের জনসভা থেকে তিনি বলেছিলেন, “ একুশের নির্বাচনের পর বিজেপির উপর হামলা চালিয়েছিলেন তৃণমূলের যে নেতারা তাঁরা আজ সিবিআইয়ের ধাক্কায় বাড়িতে থাকতে পারছেন না। এলাকা ছাড়া হয়ে গিয়েছেন।
বিজেপির বিরুদ্ধে মঞ্চ খাটিয়ে, লিফলেট ছাপিয়ে প্রচার করুন। রাজনীতি করুন। তাতে অসুবিধা নেই, কিন্তু যদি মনে করেন গুন্ডাগিরি করে পশ্চিমবাংলার দখল রাখব সে দিন শেষ।” গোটা তৃণমূলের অর্ধেক ২০২৬ এর আগে জেলে ঢুকে যাবে বলেও সভা থেকে এদিন মন্তব্য করেন রাহুল।তবে রাহুলের ‘হুমকি’র পাল্টা জবাব দিতেও পিছপা হয় নি তৃণমূল। দলের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “ রাহুল বাবু বিজেপির কোন টিমের লোক তা অবশ্য আমি জানি না। কিছুদিন আগে দিলীপ বাবুরা ওঁকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আগে দলে নিজের অস্তিত্বের দিকটা নজরে রাখুন। নিজের চুলটা সাট করে ভাঁজ করে মুখ দেখান।”
সিবিআই “জুজু” থেকে বড় কাউকে নিয়ে এলেও লোকসভায় তিনটি আসনই পাবে তৃণমূল দাবি করেন অপূর্ব। তিনি বলেন, “ একজন তৃণমূল কর্মী হিসেবে আপনাকে অনুরোধ আপনাদের জেতা আসনে লোকসভায় ধরে রাখতে পারেন তাহলে আমি রাজনীতি করা ছেড়ে দেব।“ তবে দলের নেতার কথাতে সায় না দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ” সিবিআই, ইডি পেশাদার সংস্থা। এরা বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূলের কথাতে চলে না। মনে রাখতে হবে বাংলার কোনও তদন্ত প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কথাতেও হচ্ছে না। হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। রাহুল দা যা বলেছেন তার ব্যখা উনিই দিতে পারবেন।”