ইউক্রেন থেকে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বেগুনবাড়ির বাড়িতে ফিরলেন ডাক্তারি পড়ুয়া আবুল কালাম। আবুল কালাম খারকিভ ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের ছাত্র আর আবুল কালামের দিদি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী, থাকত কিভে । সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু দুশ্চিন্তা নেমে আসে রাশিয়া- ইউক্রেনের যুদ্ধে। সর্বক্ষণ খবরের চ্যানেল, মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ পরিবারের। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে থাকা ছেলে ও মেয়ে কীভাবে ফিরবে বাড়ি? চিন্তায় ঘুম ওড়ে বাবা মায়ের। অবশেষে এই পরিবারে ফিরেছে একটু স্বস্তি।
ফিরেছে ছেলে। সাত মাস আগে বেলডাঙা থেকে ইউক্রেন ডাক্তারি পড়তে যায় আবুল কালাম। যুদ্ধের বাতাবরণে খারকিভ ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির হোস্টেল থেকে ৯ কিমি পায়ে হেঁটে খারকিভ স্টেশনে পৌঁছয় সে। খারকিভ থেকে লাভিভে পৌঁছে সীমান্তে গিয়ে হাঙ্গারি সীমান্ত। সেখান থেকে আকাশপথে নিউ দিল্লি। আর দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা বাড়ি ফেরা শুক্রবার মধ্যরাতে। বাড়ি ফিরেও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট আবুল কালামের মুখে। দিনের পর দিন কীভাবে লড়াই চালিয়ে তারা- ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিল পরিবারের সাথে।
আবুল কালামের কথায়, শুনতে পাচ্ছিলাম প্রতি একশো কিলামিটারে বিস্ফোরণের শব্দ। আতঙ্কের মধ্যে দিন কেটেছে। এখন চাইছি সহপাঠীরাও দেশে ফিরুক। ছেলে ফিরেলেও এখন মেয়ের ফেরার অপেক্ষায় বাবা, মা।