নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি ভাবে আলুর দাম ২৫ টাকা বেঁধে দেওয়া হলেও আলুর দামে রাশ টানা যাচ্ছে না। ক্রমশই আম জনতার নাগালের বাইরে যাচ্ছে আলু। জ্যোতি থেকে চন্দ্রমুখি- ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিকোচ্ছে। এই অবস্থায় ক্রেতারা বলছেন, ডাল ভাত আলুই তো সম্বল, তাও কি আর জুটবে না। অনেকেই অভিযোগ করছেন, কালো বাজারির জেরেই এই হাল। খুচরো বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারের কাছ থেকে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে আলু কিনতে বাধ্য হচ্ছেন বস্তা পিছু। মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের কাকুরিয়া হাটেও একই হাল। চড়া দাম আলুর। আলুর জোগান স্বাভাবিক থাকলেও কেন চড়া দাম আলুর? বিক্রেতারা বলছেন, সরকারি ভাবে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া উপায় নেই। আলুর চড়া দামের কারনে বেচাকেনা কমেছে।
বিক্রেতাদের কথায়, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দরে আলু কিনছেন তারা, ফলে বাজারেও বিক্রির সময় দাম চড়াই থাকছে।
বাজারে আলুর জোগান ভরপুর। তবুও ক্রেতাদের দেখা নেই। আলুর পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। দিনভর এক বস্তা আলুও বিক্রি হচ্ছে না।
আম জনতার কাছে এখন অধরা আলু। করোনা আবহে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন, অনেকেরই ব্যবসায় চলছে মন্দা। এই পরিস্থিতিতে আলুর আকাশছোঁয়া দামে- বাজারে এসেও আলু না কিনেই ফিরছেন অনেকেই। দাবি একটাই, আলুর দাম নিয়ন্ত্রনে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নিক প্রশাসন।
বর্তমানে অনেকেই দৈনন্দিন খাবার থেকে আলুকে বাদ ও দিচ্ছেন। বাজার করতে এসে আলুর দিকে ফিরেও তাকাচ্ছেন না কেউ কেউ। তবে আলু ছাড়া কতদিন চলচবে? নাভিশ্বাস ফেলছেন ক্রেতারা।
একদিকে শ্রমজীবী মানুষের বাস, অন্যদিকে গঙ্গা ভাঙনের জেরে বিধ্বস্ত সামসেরগঞ্জের একাধিক গ্রামের মানুষজন। সংকটময় এই পরিস্থিতিতে স্বস্তায় আলু কেনাও দায়।