World Palace Day নবাব ও রাজ রাজাদের স্মৃতি বিজড়িত বহু সৌধ, প্রাসাদ রয়েছে ঐতিহাসিক শহর বহরমপুরে। যার মধ্যে অন্যতম রাজকীয় রায় পরিবারের কাশিমবাজার রাজবাড়ি। মুর্শিদাবাদের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। রাজা দীনবন্ধু রায় তৈরি করেন সুদৃশ্য এই প্রাসাদটি। ইউরোপীয় ও ভারতীয় স্থাপত্যের একটি দুর্দান্ত উদাহরণ এই প্রাসাদ। সেখানেই পালিত হল ‘বিশ্ব প্যালেস দিবস’ World Palace Day। ইউরোপিয়ান সংস্কৃতির এই অনুষ্ঠান বাংলার মাটিতে তুলে ধরেছে রায় পরিবার। জমকালো অনুষ্ঠানের শুরুটা হয় হেরিটেজ ওয়াক দিয়ে। রাজা প্রশান্ত রায়, রানী সুপ্রিয়া রায়, পুত্র পল্লব রায় , রায় পরিবারের নবীন, প্রবীণ সদস্য,এই শহরের বিশিষ্ট মানুষজন তাদের হাত ধরে শনিবার সকালে উদযাপনের সূচনা হল প্রদীপ প্রজ্বলন ও পতাকা উত্তলনের মাধ্যমে।
World Palace Day এর সাথেই রাজপ্রাসাদের অন্দরে সূচনা হল একটি ফটো গ্যালারির। ফিতে কেটে যার উদ্বোধন করলেন বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী সুদীপ রায়। বিশেষ দিনে হেরিটেজ ওয়াকের মাধ্যমে জীবন্ত ইতিহাসকে চাক্ষুস করলেন একঝাঁক শিল্পপ্রেমীরা। অভিনব এক প্রয়াসের সাক্ষী থাকল ইতিহাসে মোড়া রাজবাড়ির অন্দর। বিশেষ আকর্ষণ ছিল বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। যেখানে ১৭৫৭ র কাশিমবাজার কেমন ছিল? জল রং, তুলি, ক্যানভাসের টানে ফুটিয়ে তুলল বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা। ক্যানভাসে জীবন্ত হল ইতিহাস।
World Palace Day ঐতিহ্য ও সাবেকিয়ানায় মোড়া কাশিমবাজার রাজবাড়ি। ইতিহাস যেখানে কথা বলে আজও। শুধু বইয়ের পাতা উল্টে নয়, ক্যানভাসে চোখ রেখে ফিরে তাকানো ইতিহাসে অলিন্দে। মূলত পর্যটকদের প্রতি আকর্ষণ ও পর্যটন মানচিত্রে কাশিমবাজার রাজবাড়িকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বিগত কয়েক বছরে নতুন রঙে সেজে উঠে বর্তমানে তা হয়ে উঠেছে হেরিটেজ গেস্ট হাউস। সান্ধ্যকালীন জমকালো অনুষ্ঠানের আগে সকাল থেকেই উৎসবমুখর কাশিমবাজার- প্যালেস অফ দ্য রয়েস। পুজোর আগে উপরি পাওনা ইতিহাস প্রেমী পর্যটকদের।