World Mental Health Day 2025 সুস্থ শরীর, সুস্থ মন! নাকি সুস্থ মন, সুস্থ শরীর! এক কথায় বলতে গেলে দুটোই একে অপরের পরিপূরক। তবুও শরীর সুস্থ রাখতে আমরা যতটা ওয়াকিবহাল, ততটা কি মনের খেয়ালও রাখি? উত্তরটা বোধহয় অধিকাংশই না! মন ভালো রাখা, মনের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বোধহয় বোঝার সময় এসেছে। শৈশব থেকে কিশোর, তরুণ, যুবতী থেকে বার্ধক্য- জীবনের প্রতিটি ধাপে মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া, যত্নে রাখা, সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরী।
World Mental Health Day 2025 ‘বিপর্যয় এবং জরুরি পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য’
World Mental Health Day 2025 তাই জনসচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছরের মতো এবছরও ১০ অক্টোবর পালিত হল বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। পৃথিবীর সবার মানসিক স্বাস্থ্যশিক্ষা, সচেতনতার উদ্দেশ্যে দিনটি ১৯৯২ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। ২০২৫ সালের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের বিশ্বব্যাপী প্রতিপাদ্য Theme হলো ‘access to services – mental health in catastrophes and emergencies‘. ‘পরিষেবাগুলোতে প্রবেশ: বিপর্যয় এবং জরুরি পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য’। সহজ কথায় বললে, জরুরি পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য।
World Mental Health Day 2025 বিপদের সময়, বিপর্যয়ের সময় মন স্থির রাখা, শান্ত রাখা অত্যন্ত কঠিন। তাহলে কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব? এই প্রশ্ন অনেকেরই। তবে, সমস্যার সমাধানের রাস্তাও আছে নিশ্চয়ই। কী কী করলে মনের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখা সম্ভব?
World Mental Health Day 2025 মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা, সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নেওয়া, এবং মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান করা উচিত। এর পাশাপাশি পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক রাখা, সামাজিক কাজে যুক্ত থাকা, নিজের পছন্দের কাজ করা এবং প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
World Mental Health Day 2025 শারীরিক স্বাস্থ্য ও সুস্থ জীবনযাপন, প্রতিদিনের রুটিনে যোগ করুন এই কটি অভ্যাস-
World Mental Health Day 2025 নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সেটা দৌড়ানো হতে পারে, হাঁটা, নাচ বা খেলাধুলা হতে পারে। আসল কথা হল শারীরিক কার্যকলাপ মানসিক চাপ কমাতে এবং মেজাজ ভালো করতে সাহায্য করে। যেটা করতে আপনার ভালো লাগে সেটাই করুন।
World Mental Health Day 2025 পুষ্টিকর খাবার খান: সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার শরীর ও মনকে সচল রাখতে সাহায্য করে এবং মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যাবশ্যক। পর্যাপ্ত ঘুম: শরীর ও মনকে সতেজ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম অপরিহার্য। মানসিক সুস্থতার জন্য নানান কৌশল অবলম্বন করুন। ধ্যান, যোগা, বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামগুলো মানসিক চাপ কমাতে এবং শান্তি আনতে সাহায্য করে। মনকে ভালো রাখে এমন কাজ যেমন গান শোনা, বই পড়া, প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো বা পছন্দের শখ পূরণ করা মানসিক সুস্থতা বাড়ায়। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ: প্রতিদিনের ভালো জিনিসগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে মানসিক অবস্থা উন্নত হয়।
World Mental Health Day 2025 পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো এবং তাদের সাথে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি। অন্যদের সাহায্য করা বা সামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকাও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এছাড়াও নিজের প্রতি সদয় হন এবং নিজের ভালো গুণগুলোর প্রশংসা করুন। ভালো মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। যদি মানসিক চাপ বা উদ্বেগ খুব বেশি হয়, তবে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা থেরাপিস্টের সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না।