World Bicycle Day সুস্থ থাকা এবং সুস্থ রাখা- দুই সম্ভব প্যাডেলে ভর দিয়ে। আজ ৩ রা জুন, বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস World Bicycle Day। ২০২৫ এর থিম – The theme for World Bicycle Day 2025 is “Cycling for a Sustainable Future”. পরিবেশবান্ধব এবং ব্যায়ামের জন্যও দুর্দান্ত বাইসাইকেল। যা নিয়ে ছোটবেলার নানান মুহূর্ত জীবন্ত থাকলেও সময়ের সাথে সাথে দু চাকার ব্যবহার কমেছে। যদিও সাইকেল আছে সাইকেলেই। প্রতিদিন সাইকেল চালালে অনায়াসেই ফিট থাকা সম্ভব। সাইকেল চালিয়ে আপনি এনার্জি বুস্ট আপ করতে পারেন, খুশি বোধ করতে পারেন এবং মেজাজও উন্নত করতে সহায়তা করে সাইকেলিং। কোনওরকম বায়ু দূষণ না করেই গন্তব্য পৌঁছে দেয় সাইকেল। তাই সাইকেল চালানোর উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং টেকসই জীবনযাপনের জন্য সাইকেলকে বেছে নেওয়ার জন্য প্রতি বছর, বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস পালন করা হয়। এছাড়াও আরও যে যে বিশেষ কারণ রয়েছে, এই বিশেষ দিনটি উদযাপনের পেছনে।
World Bicycle Day বিশ্ব বাইসাইকেল দিবসের ইতিহাস
World Bicycle Day বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস উদযাপনের ধারণাটি প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক লেসজেক সিবিলস্কি। প্রতি বছর বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস উদযাপনে রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রচার শুরু করেছিলেন তিনি। অবশেষে তুর্কমেনিস্তান এবং অন্যান্য ৫৬টি দেশের সমর্থন পেয়েছিলেন এই ক্ষেত্রে। এরপর ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদ ঘোষণা করেছিল যে প্রতি বছর ৩ জুন বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস পালন করা হবে।
World Bicycle Day তাৎপর্য
World Bicycle Day বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস সাইকেল ব্যবহারের সুবিধার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যা পরিবহনের একটি সহজ, সাশ্রয়ী মূল্যের, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং পরিবেশগতভাবে উপযুক্ত টেকসই মাধ্যম। সাইকেল পরিষ্কার বাতাস এবং কম যানজটে অবদান রাখে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সামাজিক পরিষেবাগুলিকে আরও অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে। এটি এমনই একটি পরিবহন ব্যবস্থা, যা অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে, বৈষম্য হ্রাস করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও শক্তিশালী করে।
World Bicycle Day সাইকেলের দেশ
World Bicycle Day নেদারল্যান্ডসকে বিশ্বের সাইকেল রাজধানীও বলা হয়। কারণ এখানে জনসংখ্যা মাত্র ১৭০ লাখ, কিন্তু এখানে সাইকেলের সংখ্যা ২ কোটি। অর্থাৎ জনপ্রতি একাধিক সাইকেল। আমস্টারডামের এই শহরের মানুষ সাইকেল বান্ধব। এখানকার মানুষ যে কোনও জায়গায় যেতে বাইক বা গাড়ির চেয়ে সাইকেল পছন্দ করেন। এ কারণে এই দেশটিকে সাইকেলের দেশও বলা হয়।