Workshop on Prevention of Child Labour শিশুরা হল দেশের ভবিষ্যৎ, মেরুদণ্ড। শিশুদের শৈশব যেন শ্রমের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাদের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত রাখার লক্ষ শ্রম দপ্তরের। কোভিড পরবর্তী সময়ে শিশু শ্রমের সংখ্যাও বেড়েছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় শিশু শ্রমের মতো সামাজিক ও জটিল সমস্যা দূর করতে বৃহস্পতিবার বহরমপুরে শ্রম দপ্তরের স্টেট লেবার ইন্সটিটিউটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল একটি কর্মশালা। উঠে এল নানান বিষয়, কারণ এবং সমাধানের পথ। এদিনের সচেতনতা শিবিরে দুই জেলায় অংশ নেয়। অ্যাডিশানাল লেবার কমিশনার রজত পাল জানান, ‘ মুর্শিদাবাদ এবং মালদা জেলাকে আমরা শিশু শ্রম মুক্ত করতে চাই’।
শিশু শ্রম বন্ধ করতে জরুরি সার্বিক যোগাযোগ। জরুরি শিশু শ্রম বিরোধী আইন সম্বন্ধেও জনগণকে সচেতন করা। সেই লক্ষেই বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মী, স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের কর্মী, বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হলেন এদিন। স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট আধিকারিক মনীষা ভট্টাচার্য বলেন, ‘ সবাইকে এই বিষয়টি সমন্ধে ওয়াকিবহাল করা যাতে আমরা ভবিষ্যতে এই প্রথাটাই নির্মূল করতে পারি।
মুর্শিদাবাদ জেলার জ্বলন্ত সমস্যা শিশু শ্রম। সমীক্ষা বলছে, ভারতের অন্যান্য জায়গার নিরিখে এই জেলায় শিশু শ্রমের মাত্রা বেশি। দারিদ্রতা বেশি থাকায় কম বয়সেই স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়ছে।
এমন একটি কাজ যা শিশুদের তাদের শৈশব, তাদের সম্ভাবনা এবং তাদের মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্ষতিকর- সেটাই শিশু শ্রম। সচেতনতার অভাব, দারিদ্রতা- নানান সামাজিক জটিলতা কাটিয়ে শিশু শ্রম বন্ধের লক্ষে সচেতন হোক সমাজ, অঙ্গীকার বদ্ধ হওয়ার অঙ্গীকার।