Durga Puja Berhampore: মায়েদের হাতে মায়ের পুজো, ২৫ বছরে আনন্দপল্লী সর্বজনীন

Published By: Imagine Desk | Published On:

বহরমপুরে মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ‘মায়ের’ পুজোর আয়োজন ‘মায়েদের’ হাতেই। সারা বছর ঘর সংসার সামলান। পুজোয় দুর্গার সংসার সামলাচ্ছেন মহিলারা। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র এই ছবি সংখ্যায় বাড়ছে। বহরমপুরে (Berhampore) মহিলা পরিচালিত আনন্দ পল্লী সর্বজনীন দুর্গোৎসব এবার ২৫ বছরে পড়ল। সর্বজনীন হলেও ঘরের পুজো বলেই মনে করেন উদ্যোক্তারা। মণ্ডপ হয়নি তো কী, রাস্তাতেই প্যান্ডেল বেঁধে সাড়ে তিন দশক ধরে এই পুজো চলছে। পুজোর জন্যে এক মাস আগে থেকে এর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পুজোর জন্যে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়ার কাজও মহিলারা করেন। চাঁদা তোলা থেকে পুজোর সমস্ত দায়িত্ব সবটা করেন পাড়ার মহিলারা। মাস খানেক ধরে চলে এই কর্মযজ্ঞ। এইভাবেই দুর্গাপুজো করে আসছেন বহরমপুরের শহীদ সূর্য্য সেন রোডের আনন্দপল্লির মহিলারা।

Durga Puja Berhampore

Durga Puja Berhampore পুজোর চার দিন মহিলারা পুজোর দায়িত্ব পালন করেন নিজেদের মতো করে। সার্বজনীন পুজো হলেও এলাকার সদস্যরা এই পুজোকে ঘরের পুজোর মতোই দেখেন। চার দিন পুজোর পাশাপাশি থাকে আনন্দপল্লির সদস্যদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর পাশাপাশি কৃতী পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহ দিতে দেওয়া হয় পুরস্কার। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য রেবা প্রামাণিক বলেন, পুজোয় আমাদের চার দিন খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। একদিন আমিষ ও বাকি তিন দিন নিরামিষ খাওয়ার ব্যবস্থা। বিশেষ দিক হচ্ছে, এই পুজো মণ্ডপে পাড়ার ছেলে মেয়েদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করি। কৃতী ছাত্র ছাত্রীদের আমরা পুরস্কার দিই। একটা পুরস্কার দেওয়া হয় মাধ্যমিক স্তরে। তা হল পুরবী চক্রবর্তী স্মৃতি পুরস্কার। এছাড়া উচ্চমাধ্যমিকস্তরে কৃতীদের আমরা নিজেদের তহবিল থেকে পুরস্কৃত করি। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও উৎসাহিত হয়। এটা সর্বজনীন হলেও মনে হয় এটা আমাদের বাড়ির পুজো। বাড়ির পুজোর পরিবেশ আনার চেষ্টা করি। পুজোয় উৎসাহ দিতে হাত লাগান ছেলেরা। বিসর্জনের দায়িত্ব নেন তাঁরা। পুরুষ সদস্যরা পুজোয় তাঁদের পাশে থাকেন। সারা বছর দুর্গাপুজোর জন্য মুখিয়ে থাকেন সবাই। এই চারদিন ধরে আনন্দ উৎসবে সামিল হন এলাকার আট থেকে ৮০ সকলেই।

See also  সাগরদীঘিতে বিপজ্জনক অবস্থা স্কুল বিন্ডিংয়ের এখানেই চলছে ক্লাস