কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত কেন সাজল নীল আলোয়?

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ গত দু’দিনের মতো সোমবারও নীল আলোয় সেজে উঠল মহানগরী তিলত্তমা সহ রাজ্যের বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানগুলি। কিন্তু কেন? পথচলতি মানুষ থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিল। জট কাটালেন ইউনিসেফের আধিকারিকেরা ২০ শে নভেম্বর রাতে।
বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষ্যে, শিশুদের অধিকার সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে এবং তাঁদের অধিকার সুরক্ষিত করতে এ বছর ইউনিসেফ তাদের ‘গো-ব্লু’ ক্যাম্পেনের অংশ হিসেবে কলকাতায় বিধানসভা ভবন, হাওড়া ব্রিজ বা রবীন্দ্র সেতু, মেটকাফ হল, বিড়লা তারামণ্ডল, নেহরু শিশু মিউজিয়ম, বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ম এবং ইউনিসেফ অফিসকে নীল আলোয় সাজিয়েছে। ভারতবর্ষ সহ সারা বিশ্বে আজ শিশুরা এবং তাদের বিকাশকে কেন্দ্র করে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। তাদের বেঁচে থাকা, শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি, সার্বিক বিকাশ, সুরক্ষা এবং বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণকে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এইভাবে নীল আলোয় সাজানোর মাধ্যমে এই বার্তাটাই সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

নীল আলোয় বিড়লা তারামন্ডল।

শুধু কলকাতা বা শহরতলি নয় জেলার বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান যেমন পুরুলিয়া শহরের জেলেপাড়া দুর্গামন্দির ও সেন্ট জোসেফ বিলিভার্স ইস্টার্ন গির্জা, মালদার কালিয়াচকের শেখপাড়া জামা মসজিদ, দক্ষিন দিনাজপুরের পাতিরামের সেন্ট মেরি গির্জাকেও নীল আলোতে সাজানো হয়েছে।
কলকাতা শহরের পরেশনাথের মন্দির, জাপানী বুদ্ধ মন্দির, নূর মসজিদ এবং সন্ত কুটিয়া গুরদ্বারও নীলাভ রূপ নিয়েছে। ধর্মীয়স্থানগুলিকে সাজানোর মাধ্যমে এইসব ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যেও শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা গড়ে উঠবে।

নীল আলোয় হাওড়া ব্রিজ।

এই প্রসঙ্গে ইউনিসেফের পশ্চিমবঙ্গ অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অমিত মেহরোত্রা জানান, “মেয়ে ও ছেলে যে সমান এবং তাদেরকে সমানভাবে বেড়ে উঠতে দেওয়া উচিত, একথা বোঝার সময় এসে গেছে। পরিবারের সকলকে উৎসাহ দিন যাতে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করেন। মেয়ে ও ছেলে উভয়কেই নিয়মিত বিদ্যালয় গিয়ে তাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। সর্বোপরি, আসুন আমরা সবাই মিলে হাতে হাত লাগিয়ে আজকের পৃথিবীকে শিশুদের জন্য রক্ষা করি।” ‘গো-ব্লু’ ক্যাম্পেনকে শিশুদের সুরক্ষার এক অঙ্গীকার বলে বর্ণনা করে তিনি সমাজকে শিশু শ্রম, শিশু বিবাহ ও শিশুদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে আহ্বান জানান।