মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ ছুটির দিন রবিবার। নেই কর্মব্যস্ত ডেলি প্যাসেঞ্জারির চাপ। তবে এদিনে লালগোলা-শিয়ালদা শাখায় বেশ কিছু ট্রেন চলল না। রেল যদিও নোটিশ দিয়েছিল আগে থেকেই। বহরমপুরে দৈনিক বিকেল ৫ টায় লালগোলা যাওয়ার ০৩১৮৩ আপ ও বহরমপুরে দৈনিক সকাল ১০ টা ২৬ মিনিটে শিয়ালদা যাওয়ার ০৩১৯০ ডাউন ট্রেন দুটি বাতিল করা হয়েছে। একইভাবে লালগোলা থেকে কলকাতা যাওয়ার ০৩১৯৪ ডাউন মেমু ট্রেনের সঙ্গে বাতিল হয়েছে কলকাতা থেকে লালগোলা যাওয়ার ০৩১৯৩ আপ মেমু ট্রেন। কলকাতা যাওয়ার ডাউন ট্রেনটি সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বহরমপুর থেকে প্রতিদিন ছাড়ে। আর কলকাতা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পাঁচ মিনিটে বহরমপুরে পৌঁছায় আপ ০৩১৯৩ ট্রেনটি। আরও দুটি ইএমইউ ট্রেন ০৩১৪৩ আপ ও ৩১৭৬৮ ডাউন বাতিল হয়েছে। ট্রেন দুটি লালগোলা থেকে রানাঘাট ও রানাঘাট থেকে লালগোলা পর্যন্ত দৈনিক যাতায়াত করে।
এদিন পলাশী স্টেশনে দেখা গেল যাত্রীদের উদ্বেগের ছবি। ট্রেনে করে মুম্বাই থেকে বাড়ি ফিরছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক তহিদুল ইসলাম। জানতেন না ট্রেন বন্ধের কথা। তহিদুলের বাড়ি লালগোলায়। ট্রেনে চেপেছিলেন শিয়ালদা থেকে, কিন্তু ট্রেনের চাকা থমকে গেল পলাশীতে। তহিদুল জানান, “তিনদিন ধরে জার্নি করে আসছি। আজ ভেবেছিলাম বাড়ি গিয়ে দুপুরে ভাত খাব, কিন্তু ট্রেনের হয়রানির জন্য, বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যাবে।”
পলাশী স্টেশনে আটকে রয়েছেন বছর ৫৫-এর স্কুল শিক্ষক নিখিল দাস, তিনি এসেছিলেন আত্মীয়ের বাড়িতে। জানান, “একটু তো হয়রানি হবেই। কিন্তু মানুষের জন্যই তো কাজ, ফলে মানুষ বিরক্ত হলে হবে? আর রোজ তো সমস্যা হবে না, তাই একদিনের জন্য একটু তো সহ্য করতেই হবে।”