নিজস্ব সংবাদদাতা, লালবাগঃ নবাব ওয়াসেফ আলি মির্জার আমলে ১৯০৩ সালে তৈরি হয় এই প্রাসাদ। ইউরোপিয়ান স্থাপত্যের অনুকরণে এই প্রাসাদই ‘ওয়াসিফ মঞ্জিল’ নামে পরিচিত। স্থানীয়রা নিউ প্যালেস নামেই চেনেন। কী আছে ‘ওয়াসিফ মঞ্জিল’-এ ? শতাব্দী প্রাচীন এই প্রাসাদ প্রথমে ওয়াসেফ আলি মির্জার বাসভবন পরে দপ্তর হিসাবে ব্যবহৃত হত। তবে স্বাধীনতার পরে সম্পূর্ণ ভাবে এস্টেটের দপ্তর হিসাবে ব্যবহৃত হত এই বিশালাকার প্রাসাদ।
শীতের মরশুমে মুর্শিদাবাদ জেলার ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলিতে পারি জমান জেলা তথা দেশ বিদেশের পর্যটক। ডিসেম্বর পরতেই আবারও সেজে উঠেছে লালবাগ। হাজারদুয়ারির পাশাপাশি দক্ষিণ দরজার পাশে গঙ্গার ধারে সংস্কার করা হয়েছে ঐতিহাসিক ‘ঘন্টাঘর’। দীর্ঘ একদশকেরও বেশি বছর বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয়েছে ‘ওয়াসিফ মঞ্জিল’ প্রাসাদটিও। যা টুরিস্টের কাছে ‘নিউ প্যালেস’ নামেও পরিচিত।
১৯০৩ সাল নাগাদ ওয়াসিফ আলি মির্জা বর্তমান নিউ প্যালেসটি নির্মাণ করেন। ১২০ বছরের পুরাতন ভবনটিতে বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে। রয়েছে মেষপালক ব্রটাসের এক ঐতিহাসিক মূর্তি। বড়দিনের ছুটির কথা মাথায় রেখেই খোলা হল এই প্যালেস। দীর্ঘদিন অবহেলায় পরেছিল এই শতাব্দী প্রাচীন প্রাসাদটি। অবশেষে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল ওয়াসিফ মঞ্জিল। দশটাকা টিকিট মূল্যের বিনিময়ে সেই প্রাসাদের ভিতরে ইতিহাস প্রত্যক্ষ করছেন পর্যটক।
আশির দশকে জেলার পর্যটন শিল্প চাঙ্গা করতে মিউজিয়াম করা হয় প্রাসাদটিকে। তারপরে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। ধুলো জমতে থাকে কার্নিশে। প্রায় ১৬ বছর পরে এই বছর আবার সংস্কারের উদ্দেশ্যে খোলা হল এই প্রাসাদ। তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন আগে যা ছিল এখন তার কিছুই নেই।
স্থানীয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সৌমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, আলোয় সেজেছে ওয়াসিফ মঞ্জিল। তবে ভিতরের প্রাসাদটির অবস্থা যে শোচনীয়! সংস্কার হবে? পর্যটকদের মনগ্রাহী হয়ে সেজে উঠবে নিউ প্যালেস? উত্তর দেবে সময়।