নিজস্ব সংবাদদাতা, নবগ্রামঃ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়েছিলেন ঋণ। কিন্তু সেই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মানসিকভাবে চাপে ছিলেন মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার অমৃতকুন্ড গ্রামের পূর্ণিমা মহলদার। ঋণের টাকা নিয়ে কোনও রকমে সংসার ও ছোট ব্যবসা চালাতেন। এভাবে গ্রামাঞ্চলে অনেকেই সংসার চালান, আবার টাকাও পরিশোধ করেন। তারপরে পরিশোধ হয়ে গেলে আবার নেন ঋণ।
তবে সেই ঋণের চাপ নিতে পারলেন না বছর ৫৮-এর ওই গৃহবধূ। ঋণ পরিশোধ না করতে পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন বলেই দাবি পূর্ণিমা মহলদারের পরিবার সূত্রে। শুক্রবার সকালে নবগ্রামের অমৃতকুন্ড গ্রামে ঘরের ভেতর থেকে পূর্ণিমা মহলদার নামে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।আত্মঘাতী মহিলার ভাইপো বিফল দাস জানান, “বেশ কিছুদিন আগে কাকিমাকে সাপে কামড়েছিল। তখন খুব অসুস্থ হয়ে যান। চিকিৎসার জন্য অনেক খরচ হয়ে গেছিল। তারপর থেকে টাকা পয়সার সঙ্কট। তখনই ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা পয়সার অভাব থাকায় শোধ দিতে পারছিলেন না সেই টাকা। রোজ এসে ওই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ঘুরে যেত। মানসিকভাবে চাপে ছিলেন তিনি। সেও কারণেই গলায় দড়ি দিয়ে মৃত্যুর পথ বেছে নিলেন”।
এই ঘটনার খবর পেয়ে নবগ্রাম থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাদতন্তের জন্য পাঠায়। মৃত্যুর পিছনের কারণ কি ঋণের চাপ নাকি অন্য কিছু তার তদন্তে নবগ্রাম থানার পুলিশ।