Wetland Berhampore জলাভূমি রক্ষায় অবস্থানে নাগরিক সমাজ
Wetland Berhampore জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছেড়ে দিন। পুরসভা এলাকায় দিনের আলোতে জলাভূমি (Wetland) ভরাট হচ্ছে এরকম অভিযোগ সামনে আসে। খোদ বহরমপুর (Berhampore) শহরও এর থেকে বাইরে নয়। জমি হাঙ্গরদের থাবা থেকে বাঁচছে না গভীর জলাশয়ও। জলাভূমি রক্ষা করার জন্যে জেলার বিশিষ্টজনেরা একটা কমিটি তৈরি করেছেন। সেই কমিটির সম্পাদক শিল্পী সেন বুধবার বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকা থেকে জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। শহরের মধ্যে ধূপঘাটি দিঘির পাড়গুলো নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। জেলায় জলাভূমি রক্ষার দাবিতে বহরমপুরে অবস্থানে শামিল হলেন শহরের বিশিষ্টজনেরা। এদিন সকাল থেকে বহরমপুরের পুরনো এলআইসি ভবনের পাশে শুরু হয় অবস্থান। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত অবস্থান চলে। জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

Wetland Berhampore শামিল হলেন পরিবেশকর্মী, গবেষক, জলাভূমি রক্ষার আন্দোলনের কর্মী, আইনজীবী থেকে সমাজের শুভবুদ্ধিসম্পন্নরা। শহরের বিশিষ্টজনেরা প্রত্যেকেই উদ্বিগ্ন জলাভূমি নির্বিচারে ভরাট নিয়ে। ভরাট বন্ধের দাবিতে এদিন জলাভূমি রক্ষা কমিটির ডাকে দিনভর চলে অবস্থান বিক্ষোভ।
আরও পড়ুনঃ Murshidabad University: পুলিস অভিযোগ না নিলে কোথায় যাবেন? কী বলছেন বহরমপুরের আইসি?
Wetland Berhampore একের পর এক জলাভূমি ভরাট হওয়ায় কমছে ভূর্গস্থ জলের সঞ্চয়। জলসম্পদ সমৃদ্ধ জেলায় দেখা দিচ্ছে জল সংকট। জলাভূমি রক্ষা না হলে বাড়বে উদ্বেগ। যা নিয়ে চিন্তিত পরিবেশবিদরা। অবস্থান মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন আইনজীবীরাও। তাঁদের দাবি, যারা এসব জলাভূমির রক্ষক তারাই ভক্ষকের কাজ করছে।
Wetland Berhampore এদিন সমাজের সব স্তরের মানুষ একসঙ্গে অবস্থান থেকে শপথ নেন বহরমপুর শহর তথা জেলার জলাভূমি রক্ষার। জলাভূমি রক্ষা কমিটির সদস্য কাবেরী বিশ্বাস বলেন, আমাদের টিমের চার জন জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দেন। আমাদের দাবি হচ্ছে, কোনও জলাভূমি ভরাট করা যাবে না। জলাভূমির চরিত্র বদল করে তাঁকে ভিটে করা যাবে না। জলাভূমিগুলি সংস্কার করা যাবে না। সীমানা নির্ধারণ করে দিতে হবে। বিজ্ঞানী, গবেষক সূর্জেন্দু দে বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলা জলসম্পদে পূর্ণ। সেই জেলাতে কোনওরকমের জল সংকট হওয়া একেবারে কাম্য নয়। জলাভূমি ভরাট হলে দুর্দিন ঘনিয়ে আসবে।















