বিপ্লব দাস, জঙ্গিপুর, ১৭ অক্টোবরঃ বাইরন বিশ্বাসের পর মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের সঙ্গে আবার বিশ্বাসঘাতকতা আনারুল হক বিপ্লবের! ঘটনাক্রমে দুজনই সামশেরগঞ্জ ব্লকের বাসিন্দা। পুজোর আগে বুধবার ফের দলবদল হতে চলেছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা কংগ্রেস দলে। জঙ্গিপুরের সাংসদ ও জঙ্গিপুর সাংগাঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, মুশিদাবাদ জেলা পরিষদের কংগ্রেসের দল নেতা আনারুল হক বিপ্লবের কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।
যা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, বলে দাবি খলিলুরের। বুধবার জঙ্গিপুরে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে আনারুল তাঁর অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন। একই সাথে লালগোলা সহ বেশ কিছু এলাকা থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জেতা জন প্রতিনিধিরাও যোগ দিতে পারেন আর কিছু সিপিআইএম নেতা কর্মীরাও যোগ দেবেন বলে দাবি করেছেন খলিলুর।
পুজোর আগে ফের কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য গত জেলা পরিষদে তৃণমূল কংগ্রেসের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন আনারুল হক বিপ্লব। গত বিধানসভার আগে তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দলবিরোধী কাজের জন্য বহিস্কার করা হয়। বিধানসভা ভোটের কয়েকমাস পর তিনি আবার তৃণমূলে যোগদান করেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসের প্রতীকে সামসেরগঞ্জ ব্লক থেকে জেলা পরিষদে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন আনারুল হক।
মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস এই বিষয়ে জানান, ‘আনারুল হক বিপ্লব তৃনমূল কংগ্রেস যোগদান করছেন এমনটা আমরা শুনেছি। কিন্তু এর সত্যতা আমাদের কাছে নেই। আনারুল হক বিপ্লব কংগ্রেসের টিকিটে জেলা পরিষদের সদস্য হয়েছেন। এমনকি রাজনীতি জীবনের প্রথম স্বীকৃতি কংগ্রেস দিয়েছে। তার পরেও কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন উনি এই নিয়ে খুব সন্দেহ থেকেই যায়।’
কংগ্রেস দল তাঁকে দল নেতা হিসাবে নির্বাচিত করলেও। সভাধিপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। প্রায় দু’মাসের মাথায় তাঁর দল ছাড়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। কংগ্রেস দলের মধ্যেও, বাইরনের পর বিপ্লবের এই দল বদলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ বাইরন থেকেও শিক্ষা নেইনি কংগ্রেস জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব ফের বিপ্লবকে জেলাপরিষদে জিতিয়ে দলনেতা করে কংগ্রেসে দুমাসের বেশি ধরে রাখা গেলনা। ঘটনায় অস্বস্তিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব।