মধ্যবঙ্গ ওয়েব ডেস্কঃ শেষ হয়েছে দুর্গা পুজোর পালা। দুর্গা পুজোর এক সপ্তাহের মধ্যেই হয় লক্ষ্মীপুজো। আর এই লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করেই, ফল ও সবজি বাজারে আগুন। সমস্ত ফল, ফুল ও সবজির দাম এক লাফে বেড়ে গিয়েছে। তবুও বাজার তো করতেই হবে। ধন সম্পদের দেবীর পুজো বলে কথা। বাজার চরা হলেও বাজারে উপচে পড়েছে ভিড়ও। সাত সকালে বহরমপুরের পুরাতন কান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লক্ষ্মী পুজোর বাজার করতে এসেছিলেন অভিজিৎ কর্মকার। তিনি বলেন, শুধু সবজি বা ফুল, ফলই না। দাম বেড়েছে সব জিনিষেরই। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বাড়লেও তা তো কিনতেই হবে। ফলে পকেটে টান পড়লেও লক্ষ্মীপুজোর জিনিস তো কিনতেই হবে।
২৭ অক্টোবর, শুক্রবার বহরমপুরের বাজারের যে ছবি দেখা গেল তা এরকমঃ আগে, চাঁপা কলার দাম ছিল ২৫ টাকা ডজন, এখন তা বেড়ে হয়েছে ডজন প্রতি ৩০ টাকা।
আগে ঘটের ডাবের দাম ছিল ২০ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা।
আগে পানিফলের দাম ছিল ৪০ টাকা প্রতি কেজি, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা প্রতি কেজি।
আগে নারকেলের দাম ছিল ২০ টাকা প্রতি পিস, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা প্রতি পিস
আগে আপেলের দাম ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা প্রতি কেজি, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা প্রতি কেজি। আগে শশার দাম ছিল ২০ টাকা প্রতি কেজি, এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি। আগে আনারসের দাম ছিল ৩০ টাকা প্রতি পিস, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা প্রতি পিস।
লক্ষ্মীপুজোতে পদ্ম ফুল মাস্ট। এই পদ্ম ফুলের দামও বেড়েছে লাফিয়ে। আগে ছোট পদ্ম ছিল ৫ থেকে ১০ টাকা পিস, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস। বড়ো পদ্মের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা প্রতি পিস।
একই সাথে আগুন নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি বাজারেও। লঙ্কা ১০০ টাকা কেজি, আলু ১৮ থেকে বেড়ে ২০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা প্রতি কেজি, আদার দাম বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা প্রতি কেজি, টমেটোর দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা প্রতি কেজি, ফুলকপির দাম ১৪ টাকা প্রতি পিস থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা, বাঁধাকপির দাম ১২ টাকা প্রতি পিস থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা, পটলের দাম ৩০ টাকা প্রতি কেজি থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছর এই সময়ে দাম বাড়ে। এবছর বর্ষায় অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে তার ফল স্বরূপ এই অবস্থা বাজারের। তবে সব কাটিয়ে বাজারে তো বাঙালিকে ফিরতেই হবে।