রামচন্দ্র বিশ্বাস, সারগাছিঃ পাহাড়ি এই ফুলের প্রথম হদিশ মিলেছিল জাপানে। প্রায় দু’হাজার বছর আগে মানবজাতি এই ফুলের সৌন্দর্যে সম্মোহিত হয়েছিল। যার নিদর্শন মেলে সেকালের গুহাচিত্রে। বরফের দেশ অ্যান্টার্কটিকাতে এই ফুলের বিপুল উৎপাদন। ফুলপ্রেমিরা এই ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন। লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেন এই ফুলের জন্য। তবে শুধু সৌন্দর্য না রয়েছে একাধিক ঔষধিগুণ। ফুলের নাম অর্কিড। ফুলপ্রেমিদের কাছে এ যেন সাক্ষাত ‘ঈশ্বর দর্শন’।
এবারে বহুমূল্য অর্কিড ফুলের চাষ সম্ভব মুর্শিদাবাদের মাটিতে। এই ফুল চাষ করে লাভবান হতে পারেন জেলার চাষিরা এমনটাই জানাচ্ছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। মুর্শিদাবাদের সারগাছিতে ধান্যগঙ্গা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে চলছে চতুর্থ বর্ষের কৃষি সমৃদ্ধি মেলা। এই মেলাতে সুদূর সিকিমে অবস্থিত ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর অর্কিড থেকে এসেছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। স্টল দিয়েছেন তাঁরা। হাতে নাতে জেলার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, দেখাচ্ছেন কীভাবে জেলার মাটিতে সম্ভব এই ফুলের চাষ।
মুর্শিদাবাদ জেলার মাটিতে ডেনড্রোবিয়াম প্রজাতির অর্কিড ফলানোর উপযুক্ত পরিবেশ আছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জেলার চাষিদের স্পেসিমেন দিয়ে যাবেন। ফলন হলে আয়ের দিশা পাবেন জেলার ফুল চাষিরা, জানালেন ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর অর্কিড(সিকিম)-এর কৃষি বিজ্ঞানী সুমন নট। সারগাছিতে ১২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে কৃষি সমৃদ্ধি মেলা। এই মেলায় এসে জেলার ফুলচাষিদের আয়ের নতুন দিশা দেখাবে অর্কিড এমনটাই মনে করছেন কৃষি বিজ্ঞানী থেকে ফুল চাষি সকলেই।