মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ শীতের আমেজে উৎসবের মেজাজ চৌরিগাছাতে। বহরমপুর থেকে রামনগর যাবার পথে ছোট্টগ্রাম চৌরীগাছা। এখানে প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তির পরদিন অর্থাৎ মাঘের প্রথম দিন থেকে শুরু হয় উত্তরায়ন মেলা। প্রাচীন এই মেলার কিছু প্রাচীন রীতিও আছে। মাঘের প্রথমদিনের সকালে ভাগীরথীতে স্নান করে উঠে নদীর পারে বনভোজনে মাতেন আশেপাশের রাঢ় এলাকার মানুষ।
পাঁচদিন ব্যপী এই উত্তরায়ন মেলার মূল কেন্দ্রবিন্দু চৌরীগাছার গোবিন্দ গোপিনাথের মন্দির। স্থানীয়দের কাছে মিষ্টির মেলা নামেও পরিচিত এই মেলা। জেলার গর্ব ছানাবড়া তো আছেই, এছাড়াও হরেক রকম গ্রামীণ মিষ্টান্ন সম্ভার। যার স্বাদ কোনও শহুরে দোকানে মিলবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিয় রায় জানান, “প্রায় একশো বছরের পুরোনো ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ের এই মেলা। পাঁচদিনের এই মেলায় রকমারি স্বাদের মিষ্টির দোকান দেন স্থানীয়রা। তাই গ্রামের লোকেদের কাছে ‘মিষ্টির মেলা’ নামেও পরিচিত এই মেলা। মিষ্টির পাশাপাশি ভুট্টা ও বাজরার খই পাওয়া যায়। মেলার পাঁচদিন গ্রামবাসীদের মধ্যে আনন্দের সীমা থাকে না।”
মেলার সাথে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। থাকে যাত্রাপালা, বাউল, কবিগানের আসর। মেলার পাঁচদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষের আনাগোনা হয় মেলায়। তবে শহুরে জাঁকজমকের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে মেলার প্রাচীন ঐতিহ্য। আগে যেখানে দশের অধিক মিষ্টির দোকান বসত মেলায় এখন তা কমছে। আক্ষেপ গ্রামবাসীদের। একই সাথে চাইছেন ফিরে আসুক মেলার প্রাচীন ঐতিহ্য।