পাড়ার সমাধানে জঙ্গীপুরে দুই মন্ত্রী
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ ১০০ টির মধ্যে ৯০ টি সরকারি পরিষেবা পেয়েছেন। ১০ টি পাননি মানে তিনি কিছু পাননি বলতে চান’।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত থাকতে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ Amader Para Amader Samadhan কর্মসূচি করতে দরকার হল কেন? বুধবার মুর্শিদাবাদের Murshidabad সুতিতে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, ‘পুজোয় অনুদান দিতে গেলেও বলা হয় রাজনীতি। মানুষকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। অনেকে এমন আছেন সকালে কাজে যান, সন্ধ্যায় ফিরে আসেন। আজকে পাড়ার পাশে আমার পাড়া, আমার সমাধান কর্মসূচি। সেখানে পঞ্চায়েতের কারও মত চলবে না। আপনারা লিপিবদ্ধ করবেন সরকারকে। সরকার তা বিবেচনা করবে। আমরা বলি না বিজেপি, আরএসএস পাবে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। উল্লেখ্য, গ্রামবাসীদের বক্তব্য, আমার পাড়া, আমার সমাধান কর্মসূচিতে গেলে দেখা যাবে সেখানে পঞ্চায়েত সদস্যরা আলো করে রয়েছেন। ফলে মন্ত্রীর এই বক্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সুতি ১ নম্বর ব্লকের নূরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ ক্যাম্পে হাজির হন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান। প্রথমে রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকে শিবিরে হাজির হন একসঙ্গে দুই মন্ত্রী। শিবিরে ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার অমিত কুমার সাউ। জঙ্গিপু্রের এসডিও একম জেসিংহ সহ পুলিশ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা । দুই মন্ত্রী খোঁজ নেন এলাকার উন্নয়ন, মানুষের চাহিদা নিয়ে। নূরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়া বাহাদুরপুর মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রে হওয়া শিবির ঘুরে দেখলেন দুই মন্ত্রী। সরাসরি সাধারণ মানুষের মুখ থেকে শুনলেন সমস্যা। দিলেন সমাধানের আশ্বাস। জোড়া মন্ত্রীকে এলাকায় পেয়ে পাওয়া, না পাওয়ার খতিয়ানও তুলে ধরলেন কেউ কেউ। অনেকেই পঞ্চায়েত থেকে কিছু পাইনি বলে জানান। এই বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কেউ ১০০ টির মধ্যে ৯০ টি সরকারি পরিষেবা পেয়েছেন। ১০ টি পাননি মানে তিনি কিছু পাননি বলতে চান। এটা আমাদের বলার জন্যে বলা। কিন্তু সবাই খুশি আছেন।