মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনেও তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে জলঙ্গিতে। ফের প্রকাশ্যে বিধায়ক ও জেলা যুব তৃণমূল সভাপতির কোন্দল। বাম কংগ্রেস সহ বিরোধীদের সাথে নিয়ে স্থায়ী সমিতি গঠন শাসক দলের বিধায়কের । স্থায়ী সমিতি গঠনের মাঝপথেই পঞ্চায়েত সমিতি ছাড়লেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি। বিধায়কের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রকি।
এদিন সকালে বিরোধীদের সাথে নিয়েই পঞ্চায়েত সমিতিতে ঢুকতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাককে। অন্যদিকে তৃণমূল সদস্যদের সাথে নিয়ে ঢুকতে দেখা যায় জেলা যুব সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রকি। এই পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ১৫টিতে। সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস ৬টি করে আসন পায়। বিজেপি ২টি এবং নির্দল একটি আসনে জয়ী হয়। বোর্ড গঠনের আগে থেকেই সভাপতি নিয়ে সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি ও জলঙ্গির বিধায়কের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
বোর্ড গঠনের সময় বিধায়ক অনুগামী ৪ জন জোটের ১২ জন এবং বিজেপি ২ জন এবং নির্দলের সমর্থনে সভাপতি হিসাবে করিরুল ইসলামকে প্রস্তাব করে এবং ভোটাভোটি তিনি জয়ী হয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সভাপতি হন করিরুল ইসলাম এবং সহকারী সভাপতি হিসাবে ভোটে জয়ী হন কংগ্রেসের মারিয়ম খানম।
এদিন স্থায়ী সদস্য নির্বাচনেও বোর্ড গঠনের পুনরাবৃত্তি দেখা যায়। বিধায়ক তৃণমূলের কয়েকজন সদস্য ও বিরোধীদের নিয়েই স্থায়ী সমিতি গঠন করে। যদিও বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, তৃণমূলই পঞ্চায়েত সমিতিতে স্থায়ী সমিতি গঠন করেছে। বিরোধীরা কাকে সমর্থন করেছেন তা তিনি জানেন না বলেই দাবি করেছেন। যুব সভাপতিকেও আক্রমণ করেন বিধায়ক।