নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে যাওয়ার আগে বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলায় ব্লক সভাপতি রদবদল করল তৃণমূল ভবন। একাধিক জায়গায় সভাপতির সঙ্গে সহ সভাপতি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে এদিন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলাতেও ব্লক সভাপতি পদে রদবদল করা হয়েছে। সেখানেও কোথাও নতুন নেতাকে কোথাও পুরনো নেতার উপরে ভরসা রেখেছে দল।
বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী তবে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের দাবি এবারেও মান্যতা দেন নি বলেই দলের শীর্ষ নেতাদের দাবি। বিধায়কের সঙ্গে ভরতপুর ১ এর ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম ওরফে টারজানের বনিবনা যেমন হয় না তেমনি ভরতপুর ২ এর ব্লক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গেও তাঁর মনোমালিন্যের কথা সবার জানা।
তৎকালীন জেলা সভাপতি শাওনি সিংহরায়ের সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই টানা পোড়েনের শুরু। অথচ নতুন তালিকা অনুযায়ী দুই ব্লক সভাপতিকেই বদলের দাবি তুলেছিলেন বিধায়ক। মাস দুয়েক আগে বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল হয়েছে। অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড সভাপতি পদে বসলে তাঁর কাছেও হুমায়ুনের একই দাবি ছিল। কিন্তু নতুন তালিকায় তাঁদের কোনও রদবদল হয়নি।
একইভাবে নওদার বিধায়ক সাহিনা মমতাজের সঙ্গে ব্লক সভাপতি সফিউজ্জামান শেখ ওরফে হাবিবের বনিবনা না হলেও ডেভিড জমানায় তাঁকেই ফের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হুমায়ুন এদিন বলেন, “ওরা দলের আস্তা অর্জন করেছে। তাই দল ওদের পদ থেকে সরায়নি। যা ভালো করেছে তাই করেছে। ওরা ভাল করে দলটা করুক।” সাহিনাও বলেন, “দল বিধায়কের দাবির মান্যতা দেয় নি। যা ভালো বুঝেছে তাই করেছে।” অপূর্ব অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বহরমপুর পূর্বের ব্লক সভাপতি আইজুদ্দিন শেখকে সরিয়ে রাজেন্দ্র কুমার ঘোষকে সভাপতি করা হয়েছে।
একইভাবে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের বিরোধী সুতির ব্লক সভাপতি সিরাজুল ইসলামকেই ওই পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে দলের যোগদান সভা থেকে সিরাজুলকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন জাকির। তার বিরোধীতা করেছিলেন বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস। তবে খড়গ্রাম ও রঘুনাথগঞ্জ, জঙ্গিপুরের ব্লক সভাপতিকে পাল্টে ফেলা হয়েছে।