নিজস্ব সংবাদদাতা,বহরমপুরঃ ফারাক্কার সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজের রবিবারের সেট পরীক্ষার রেশ থাকল সোমবারেও। উত্তেজনা ছড়াল রাজনীতির আঙিনাতে। সোমবার অস্থায়ী অধ্যাপক সৃজয় মন্ডল শোকজের নোটিশ ধরাল সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজ কতৃপক্ষ। তাই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও।
রবিবার সেট পরীক্ষার দিন প্রথম হাফের জেনারেল পেপারের পরীক্ষা শেষ হবার পর হুলুস্থুল কান্ড বাধে। অভিযোগ ওঠে, দুই পরীক্ষার্থীকে বিশেষ সুযোগ দিয়েছেন কলেজ কতৃপক্ষ। সেই অভিযোগ জানিয়ে নিজের ফেসবুক থেকে লাইভে আসেন সৃজয়। মুহূর্তে ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। তারপরেই নড়েচড়ে বসে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিন সুজয় বলেন, “আমাদের কলেজের একটি হোয়াটস্যাপ গ্রুপ রয়েছে। সেখানেই কলেজের প্রিন্সিপ্যাল (ডঃ শিবাশিষ ব্যানার্জি) আমাকে শোকজের নোটিশ পাঠায়। এবং সেই নোটিশে কারণ হিসেবে লেখা ছিল আমার ডিউটি ১৩ নম্বর রুমে ছিল আমি নিয়ম ভেঙে অন্য রুমে কেন গিয়েছি। কিন্তু আসলে আমি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ফেসবুক লাইভ করেছিলাম। এবং দ্বিতীয় কারণ আমি কেন মোবাইল নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি কোন মোবাইল নিয়ে যায়নি এবং আমার মোবাইল একজনের ব্যাগে রাখা ছিল। সেই ব্যাগও আমি নিয়ে যায়নি। তাই এই শোকজের কোন মানে হয়না।”
কিন্তু এই ঘটনার দায় কার? তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সানসাইনও জানান, “এই ঘটনায় সম্পূর্ণ গাফিলতি কলেজের।” ডিওয়াইএফআই নেতা সন্দীপন দাস জানান, “গোটা পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতিতে পূর্ণ হয়েছে। আর চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতি তৃনমূলের সমার্থক শব্দ। আমরা এর তদন্ত চাই।” কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের নেতা হজরত আলি জানান, “গোটা পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি চলছে সেটা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। এই সরকারের আমলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে। সরকারের যারা এক সময় শিক্ষার সাথে জড়িত ছিলেন তাঁরা আজ জেলে বসে। তাই সম্পূর্ণ ভাবে বোঝাই যাচ্ছে এই সরকারের আমলে কতটা পরিমাণে দুর্নীতি চলছে।”