নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ সরকারি মঞ্চ ব্যবহার করে কার্যত লোকসভার প্রচার করতে মুর্শিদাবাদ জেলায় আসছেন বলে দাবি করেছিলেন বিরোধীরা। নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করতে সভায় যাওয়ার আগে ও পরে কী করতে হবে কী করতে হবে না তা পইপই করে নেতাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন জেলা নেতারা। পাছে মুখের ভাষা বুঝতে অসুবিধা হয় তাই দলীয় প্যাডে কম্পিউটার টাইপ করে ব্লকে ব্লকে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে তা পাঠিয়েও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কে শোনে কার কথা। মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে উড়ল তৃণমূলের দলীয় পতাকা।
বহরমপুর স্টেডিয়ামের মাঠ ঘিরে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন ব্লকে ভাগ করে সভায় আসা মানুষজনের বসার সুবিধাও করে দেওয়া হয়েছিল। জেলা সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসন থেকে সভাস্থলে দলীয় পতাকা নিয়ে প্রবেশ করতে বারণও করা হয়েছিল। কিন্তু সে কথায় কান দেন নি কেউই।
মুখ্যমন্ত্রীর সভা ভরাতে বহরমপুর সহ বিভিন্ন বিধানসভা থেকে মানুষজনকে আনা হয়েছিল স্টেডিয়ামে। যত বেলা বাড়তে লাগলো শ্লোগানে শ্লোগানে কাঁপতে লাগল শহর বহরমপুর। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উড়ল দলীয় পতাকা। নিরাপত্তা বলয়েও দলীয় পতাকা হাতে তাঁরা ঢুকে পড়লেন। মূল সভাস্থলে প্রবেশ পথে রাস্তা আটকায় পুলিশ। তখন দলীয় পতাকা গুটিয়ে সভায় প্রবেশ করলেন অনেকে। যাঁরা পতাকা ছাড়তে চাইলেন না। তাঁরা দাঁড়িয়ে থাকলেন বাইরে। বাদ্যি বাজিয়ে মিছিল করে তৃণমূলের এক নেতার মিছিল যখন মাঠে এল, পতাকা নিয়ে প্রবেশের কারণ জানতে চাইলে উত্তর এল ” আবেগ। আবেগ বড় বালাই। বুঝলে কি না।”