নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসছেন বুধবার। ওইদিন বহরমপুরে বেলা চারটের সময় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান। সেখানে সংগঠনের পক্ষ থেকেও তাঁকে স্বাগত জানানো হবে। দলীয় পতাকা ছাড়াই স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন জেলার নেতা কর্মী সমর্থকরা। দুই সাংগঠনিক জেলা থেকে বহরমপুরে এনে বড় জমায়েত যাতে করা যায় সে ব্যাপারেও জেলা নেতাদের পারস্পরিক মত বিনিময় প্রয়োজন ছিল। আর তাই শনিবার সকালে জেলা পরিষদের হিজল সভাগৃহে একটি প্রস্তুতি পর্ব সেরে নেন বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার নেতারা। ছিলেন প্রত্যেক ব্লক ও টাউন নেতৃত্ব।
সেখানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান ও। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি সহ জেলা পরিষদের সদস্য, বিধায়করাও। বৈঠকে উপস্থিত সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, “এমন একটা জমায়েত আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেব যাতে বহরমপুর লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।” বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর কীভাবে সাফল্যমন্ডিত করা যায় তা নিয়েই এদিন বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আশা করা যায় কম করে চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার লোকের জমায়েত হবে স্টেডিয়ামে। মুখ্যমন্ত্রী সেদিন অনেক প্রকল্পের ঘোষণাও করতে পারেন।”
তবে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “প্রয়োজনের তুলনায় গাড়ি কম। তা না হলে লক্ষাধিক লোকের জমায়েত করা কোনও ব্যপার হত না।” খলিলুর রহমান বলেন, “অনেকেই দিদির সভায় জেতে আগ্রহী। তবে দূরের কারণে অনেকে পিছিয়ে আসতে পারেন। তবে আমরা যত বেশি সংখ্যক মানুষকে সভাস্থলে নিয়ে জেতে পারি তা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়ে যাব।” শনিবার জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলায় প্রস্তুতি বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সেখানে জাকির হোসেন, আশিস মার্জিত, কানাই মন্ডলরা অনুপস্থিত ছিলেন। খলিলুর বলেন, “বিধায়কদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। তাঁরা বৈঠকে না এলেও তাঁদের প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছিলেন।”
তবে মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে দলের জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মুখ খুলে রবিবার দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক তথা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। দলের কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে তিনি বলছেন, “যারা খেতে পেত না তাদের এখন দো-তলা তিন তলা বাড়ি।” মাস তিনেক আগে জঙ্গিপুর পুরসভার এক কাউন্সিলরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল জাকির ঘনিষ্ঠ পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এদিন জাকির কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ফের জঙ্গিপুরে সামনে এসেছে গোষ্ঠীকোন্দল। তবে বিষয়টি তাঁর কাছে পরিস্কার নয় জানিয়ে খলিলুর বলেন “আমি পুরোটা না জেনে কিছু বলতে পারব না। তবে ছোটখাটো বিষয় বড় সংসারে হয়ে থাকে।”