মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ ইদের আগে ঘরে ফেরা হল না জেলার দুই পরিযায়ী শ্রমিকের। ট্রেনে ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল। মহারাষ্ট্র থেকে ট্রেনে করে ইদের ছুটি কাটাতে বাড়ি ফিরছিলেন মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়ার এক পরিযায়ী শ্রমিক। তবে আর ফেরা হল না ঘরে। ফেরার পথে ট্রেনের মধ্যেই মৃত্যু ঘটল তাঁর। ইদের আগে বাড়ি ফিরছিলেন সাগরপাড়ার খয়েরতলা এলাকার বাসিন্দা মুস্তাফিজুর রহমান। মুম্বাই থেকে হাওড়াগামী ট্রেনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার সূত্রে খবর, আট মাস আগে মহারাষ্ট্রে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন সাগরপাড়া থানার সীমান্তবর্তী গ্রাম খয়েরতলা এলাকার বাসিন্দা মুস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার ট্রেনে বাড়ির উদ্দেশ্যে মুম্বাই থেকে রওনা দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাড়ি ফেরার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। ট্রেনের মধ্যে একবার শৌচালয়ে যান তিনি। তবে দীর্ঘক্ষণ ধরে বাইরে না বের হওয়ায় দরজা খোলেন তাঁর সহযাত্রীরা। ট্রেনের শৌচালয় থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। নাগপুর স্টেশনের কাছে তাঁকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গ্রামের ছেলের মৃত্যুসংবাদ পেতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু সংবাদ ডোমকলের ঝাওবাড়িয়া এলাকায়। ইদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন ডোমকলের ঝন্টু সেখ। পরিবার সূত্রের খবর, গত পাঁচ বছর ধরে কেরলে শ্রমিকের কাজ করত ঝন্টু সেখ। নয় মাস আগে শেষবার বাড়ি থেকে কেরলে কাজে যায় ঝন্টু সেখ। ইদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার জন্য কেরল থেকে ট্রেনে চেপেছিলেন ঝন্টু সেখ। মঙ্গলবার সকালে ফোনে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনামের কাছে ট্রেন থেকে পরে আহত হন ওই ব্যক্তি। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে পৌছতেই কান্নায় ভেঙে পরেন পরিবারের সদস্যরা।
ইদ উপলক্ষ্যে বাড়ি ফিরছিলেন জেলার দুই যুবক। একজন ছিলেন মুম্বাই থেকে হাওড়াগামী ট্রেনে আর অপরজন কেরল থেকে হাওড়াগামী ট্রেনে। তবে বাড়ি ফেরা হল না কারও। ডোমকল ও সাগরপাড়ার এই দুই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁদের পরিবারে।