কালীপুজোয় পর্যটন গ্রাম কিরীটেশ্বরীতে দর্শনার্থীদের ঢল

Published By: Madhyabanga News | Published On:

ঋত্বিক দেবনাথ, শুভরাজ সরকারঃ শতাব্দী প্রাচীন নবগ্রামের কিরীটেশ্বরী মন্দির। এই মন্দিরের সাথে জড়িয়ে আছে এক সুপ্রাচীন ইতিহাস। রয়েছে ধর্মীয় মেলবন্ধনের কাহিনীও। আর এই ঐতিহ্যমণ্ডিত ৫১ সতীপীঠের এক পীঠ হল মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম ব্লকের কিরীটেশ্বরী কালী মন্দির। কথিত আছে দক্ষযজ্ঞের পর যখন মহাদেব সতীকে নিয়ে তাণ্ডব নৃত্যে মেতেছিলেন তখন দেবীর কিরীট বা মুকুটের অংশ পড়েছিল নবগ্রামের এই স্থানে। এখানেই একাদশ শতাব্দীতে তৈরি হয়েছিল মা কালীর মন্দির।

কিরীটেশ্বরী মন্দিরের সেবায়ত সুব্রত চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, তন্ত্র মতে পুজো হয় এই মন্দিরে। কালীপুজোয় জেলা তথা জেলার বাইরে থেকেও হয় দর্শক সমাগম। কালী পুজো কেন্দ্র করে গ্রামে বসে মেলাও। বহরমপুর থেকে প্রায় তিরিশ কিলোমিটার দূরে কিরীটেশ্বরী গ্রামে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ জেলার সবচেয়ে পুরনো মন্দির। নবগ্রাম থানার ডাহাপাড়া থেকে আরও ভেতরে এই মন্দির রাজ্যবাসীর কাছে পরিচিত কিরীটেশ্বরী মন্দির নামে। কালীপুজোর দিনে দীপান্বিতা অমাবস্যায় এখানে নামে দর্শনার্থীর ঢল। সুদূর কলকাতা থেকে কালীপুজো উপলক্ষ্যে কিরীটেশ্বরীতে এসেছেন শ্রীধর সামন্ত। তিনি জানান, মায়ের টানেই এসেছেন এত দূর। লালবাগ থেকে এসেছেন প্রিয়া দেবী, তিনি জানান এখানে মায়ের মন্দিরে এসে এক অদ্ভূত প্রশান্তি পাওয়া যায়। তাই প্রতিবার তিনি আসেন।

কালীপুজোর দিনে নবগ্রামের বিধায়ক কানাই চন্দ্র মন্ডল অংশগ্রহণ করেছিলেন দেবীর আরাধনায়। মন্দির প্রাঙ্গণে এসে এই কিরীটেশ্বরী মন্দিরের ঐতিহ্য নিয়ে তিনি জানান, এই মন্দিরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সকলের জানা। এই এলাকায় উন্নতি সাধনের জন্য তিনি চেষ্টা করছেন। ১ কোটি টাকা খরচ করে গেস্ট হাউস তৈরি হবে, হবে মার্কেটও। আশ্বাস দেন খোদ বিধায়ক।

সব মিলিয়ে কালীপুজোতে নবগ্রামের কিরীটেশ্বরী মন্দিরে দেখা গেল দর্শনার্থীদের উন্মাদনা। সেবায়ত থেকে দর্শনার্থী সকলেই এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন। তাই একবছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সবাই মাতবেন শক্তির দেবীর আরাধনায়।

See also  বহরমপুর পৌরসভায় ডেপুটেশন বামপন্থী গণসংগঠনের