ঋত্বিক দেবনাথ, বহরমপুরঃ ইতিহাসের গা ছুঁয়ে হল ইতিহাসের ক্লাস। ঐতিহাসিক হাজারদুয়ারি প্যালেস, কাঠগোলা বাগানে দাঁড়িয়ে ক্লাস নিলেন ট্যুরিস্ট গাইডরা। বড়বড় চোখ করে সিরাজউদ্দৌলা, মীর জাফরদের গল্প শুনল চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার ১নং নতুনদিয়াড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের ঘুরিয়ে দেখালেন হাজার দুয়ারি প্যালেস, কাঠগোলা বাগান। ট্যুরের পর ছিল মধাহ্নভোজনও।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, কচিকাঁচাদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলার জন্যই এই উদ্যোগ । বর্তমানে এই স্কুলে ৫২১ জন ছাত্রছাত্রী হলেও ক্লাস নেন তিন জন । একজন প্রধান শিক্ষক, একজন শিক্ষকের সাথেই রয়েছেন এক পার্শ্বশিক্ষক। চাপ সামলেই এই উদ্যোগ বলে জানান শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শিশু মানেই সহজ মন, সবকিছু জানার অদম্য ইচ্ছে। নানা রকমের কল্পনা এবং নানা রকমের চিন্তা। তাই তাদের কৌতুহলেরও শেষ থাকে না। দিনের সারা সময়ই তাদের প্রশ্ন চলতে থাকে । বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা কেউ বাদ যাননা প্রশ্নের তির থেকে। তাই সবাইকেই এমন সময় হতে হয় সচেতন। তাদের ব্যবহার সন্তানকে উৎসাহিত করতে পারে আবার নিরৎসাহিতও করতে পারে। এছাড়াও শিক্ষার মূল লক্ষ্য শিশুর সার্বিক বিকাশ করা। এই সার্বিক বিকাশ স্কুলের চার দেওয়ালে না বেঁধে রেখে খোলা আকাশের নীচে নিয়ে আসলে শিশুদের ভালোও লাগে এবং শোনার চেয়ে চোখে দেখলে মনে থাকবেও খুব ভালোভাবে ।
ঠিক সেই ভাবনার সাথেই নেওয়া হয়েছিল এই উদ্যোগ। মুর্শিদাবাদের নতুনদিয়াড় থেকে এসে স্মারক দেখে খুশি পড়ুয়ারা। চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া নাজনিন খাতুনের কথায় , ইতিহাসের বইয়ে মুর্শিদাবাদ শহরের কথা পড়েছি। ক্লাসেও শুনেছি। এবার নিজের চোখে সব দেখে জানার ইচ্ছেটা বেড়ে গেল।