মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্র চরিত্র ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। দলের অন্দরের ছাই চাপা আগুন তুলে এনেছেন হুমায়ুন। তোপ দেগেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনি সিংহ রায় সহ জেলার একাধিক দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। সাথে পেয়েছেন রেজিনগর, নওদা, জলঙ্গি ও হরিহরপাড়ার বিধায়কদেরও। তাঁরাও পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে দুষতে পিছপা হননি জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যানকে। এই নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একাধিক পর্ব চলেছে জেলার রাজনীতি মহলে। দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা সভাপতি অপসারণের দাবীতে মঙ্গলবার বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে সভা কারার কথাও ছিল হুমায়ুনের। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তেই বাতিল হল সেই সভা।
নির্ধারিত সময়ে সভা না হলেও এদিন হুমায়ুনের পাশে বসেই পর তৃণমূলের শীর্ষ দলীয় নেতৃত্বের প্রতি জিহাদ ঘোষণা করলেন হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত সেখও। এদিন বহরমপুর জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে দুই বিধায়ক সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ করেন। এদিন নিয়ামত বলেন, “মুর্শিদাবাদের একটা মারাত্মক রোগ আছে, দল ভাগাভাগির। বিধায়ককে অনুসরণ করে বাকি দলের লোককে চলতে হয়, সেই জায়গায় ব্লক সভাপতি হাইজ্যাক করে নিচ্ছে বিধায়ককে! আর এই বিষয়কে মদত দিচ্ছে এখানকার নেতৃত্ব। নিজেদের দলের মধ্যে ঝামেলা করে দল ভাগাভাগির চেষ্টা করছেন ব্লক ও জেলা সভাপতিরা। আমি এই ঘটনার তিব্র নিন্দা করছি।” তিনি আরও বলেন, দল ভাগাভাগির চেষ্টা করে দলের লাভ না ক্ষতি হচ্ছে এটা তাঁরা ভাবছেন না। জেলার সমস্ত দলীয় সিদ্ধান্ত নেবেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বিধায়কেরা। বিধায়কের ওপর দিয়ে কিছু হয়না।”
এদিন বৈঠকের শেষে নিয়ামত বলেন, তাঁরা তাঁদের দাবীতে অনড়। হুমায়ুন কবিরকেও তাঁর পূর্ণ সমর্থন আছে। তিনি বলেন “একটি পাঁচজনের কমিটি তৈরি হবে এবং জেলা সভাপতিকে অপসারণ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব।” তাই মঙ্গলবারের সভা বাতিল করা হল।