নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ বিধায়কের পাল্টা বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিলেন ভরতপুর ২ ব্লকের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। শুক্রবারের ওই সম্মেলনে বিধায়ককে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দাবি করলেও ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ূন কবীর অবশ্য বলেন তাঁকে ডাকাই হয়নি সেখানে। আবার ওই ব্লকে বিধায়কের ডাকা বিজয়া সম্মেলনীতে বহরমপুর মুর্শিদাবাদ ইউনিটের সভাপতি শাওনী সিংহরায় গরহাজির থাকলেও ব্লক সভাপতির ডাকা সম্মেলনীতে শুক্রবার উপস্থিত ছিলেন। নওদার বিধায়ক সাহিনা মমতাজের বিজয়া সম্মেলনীতে রাত আটটার পর হাজির থাকবার কথা বললেও জেলা সভাপতি শেষ পর্যন্ত ওই সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানান বিধায়ক। তবে ওই সভা “সজ্ঞানে” শাওনী এড়িয়ে গিয়েছেন বলেই দাবি করেছেন বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা। ওই ব্লকের তৃণমূল সভাপতিও সেদিন জেলা সভাপতির পথই অনুসরণ করেছিলেন। সফিউজ্জামান শেখ ও বিধায়কের ডাকা সেদিনের সভায় হাজির ছিলেন না। আবার নওদার আমতলায় ব্লক সভাপতির ডাকে অসুস্থ সাংসদ আবু তাহের খান উপস্থিত থাকলেও বিধায়কের ডাকা সভায় অবশ্য তাঁকে দেখা যায়নি। নওদার সভায় অবশ্য উপস্থিত ছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। বিজয়া সম্মেলনীকে ঘিরে লোকসভা ভোটের আগে জনসংযোগের নির্দেশ এসেছিল তৃণমূলের শীর্ষস্তর থেকে। অথচ উৎসব শেষে বিজয়ার মিলন মেলায় ব্লকে ব্লকে ভেসে উঠছে দলেরই বিচ্ছেদের ছবি। কখনও বিধায়ককে এড়িয়ে যাচ্ছেন ব্লক সভাপতি, কখনও ব্লক সভাপতিকে এড়িয়ে যাচ্ছেন বিধায়ক। কোথাও বিধায়কের ডাকা বিজয়া সম্মেলনীতে হাজির থাকছেন দলের জেলা সভাপতি, কোথাও আবার ব্লক সভাপতির ডাকা বিজয়ার আসরে হাজির হচ্ছেন তিনি। আর তা নিয়ে আর ফিসফিস নয়, নেতারা একেবারে প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন। পরিস্থিতি দেখে এক জেলা নেতার দাবি, “ ঘরের ভিতর নিজেরাই ঘর তুলছেন এঁরা। জনগণ ব্রাত্য। এর প্রভাব পড়বে লোকসভা নির্বাচনে।” আজ শনিবার জেলাস্তরে বিজয়া সম্মেলনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। সেখানে কজন বিধায়ক উপস্থিত থাকেন এখন সেটাই দেখার বলছেন ওই নেতা।