TMC slams Adhir দিল্লিতে যখন দোস্তি । বাংলায় তখন কুস্তি। মুর্শিদাবাদে সেই কুস্তির মেজাজ আরও চড়া। লোকসভা ভোট পর্ব মিটলেও। প্রতিদিন অধীরের মমতা বিরোধিতায় বেজায় চটছে তৃণমূলও। ভোটের পর সংসদের অন্দরে ইন্ডিয়া জোটে আরও কাছাকাছি কংগ্রেস Congress , তৃণমূল TMC । যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মমতা বিরোধিতার ঝাঁঝ যেন কমছেই না।গত কয়েক দিনে বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে লাগাতার তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন অধীর চৌধুরী। কখন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কখন আবার দুষ্কৃতি দৌরাত্ম নিয়ে। কখনও ইস্যু হকার উচ্ছেদ। শনিবার অধীর বলেছিলেন । তার দাবি লোকসভায় ভালো রেজাল্টের পর হাতির পাঁচ পা দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মনে করছেন যা খুশি করা যায়। মুখ্যমন্ত্রী অত্যাচারীর মানসিকতা নিয়ে একই ব্যক্তি নানা রকমের নির্দেশ দিচ্ছেন দিচ্ছেন। অধীর বলেছিলেন , “লোকসভায় ভালো রেজাল্ট করার পর তৃণমূল ভাবছে, লোকে ভোট দিচ্ছে তাই যা খুশি করা যাবে। আলোচনা করে পুনর্বাসনের মধ্যে দিয়ে হকার সরানো যায়। কিন্তু জোর জুলুম করে যা খুশি করার মানসিকতা কেন তৈরী হচ্ছে”।
সোমবারও সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্য সরকারকেই নিশানা করেছেন অধীর। গণপিটুনি কান্ডেও সোমবার তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন অধীর। অধীর বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের নেতৃত্বে সমাজে দুটো বিভাজন হয়েছে যার একদিকে অত্যাচারী, অন্যদিকে অত্যাচারিত। অধীরের দাবি, তৃণমূলের যারা অত্যাচারীর ভূমিকা পালন করছে তাঁরা পার্টি ও নেত্রীর কাছ থেকে প্রশ্রয় পাচ্ছে।
TMC slams Adhir এনিয়ে কংগ্রেসের বিরোধীতায় পাল্টা সুর চড়াচ্ছে জেলার তৃণমূল নেতারাও। তাদের দাবি অধীর চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধীতা করে বিজেপির গলায় কথা বলছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেছেন, “ অধীর চৌধুরী বরাবরই বিজেপি’র ভাষায় কথা বলেন। বিজেপি সরকারের সব সুযোগ সুবিধা উনি নিচ্ছেন। তাই বিজেপির কথাই উনি বলবেন” । অপূর্বর দাবি, মানুষের রায় মাথা পেতে নিতে পারছেন না অধীর চৌধুরী। নিজের হারের জন্য বিজেপি পার্টির বিরুদ্ধে না বলে তৃণমূলকে অভিযুক্ত করছেন অধীর। লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হলেও। কংগ্রেস শিবিরের দাবি, লড়তে হবে ২৬’এর ভোটেও। মমতা বিরোধিতার লাইনেই হবে সেই লড়াই। নাকি দিল্লির চাপে বদলাবে কৌশল। অন্যদিকে অধীরের বয়ানে সামনে এসেছে প্রদেশ সভাপতি বদলেরও ইঙ্গিত। কিন্তু যতোদিন প্রদেশ সভাপতি আছেন, মমতা বিরোধিতার সুর নরম করতে নারাজ অধীর।