মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ এ যেন বুমের্যাং । বিডিওর বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকতে গিয়ে ফাঁপরে ভগবানগোলা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিই । ২৮ আগস্ট লালবাগের মহকুমা শাসককে চিঠি লেখেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মীরা বিবি সহ তৃণমূলেরই আট পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য । চিঠিতে দাবি করা হয় , ভগবানগোলা ২ –এর বিডিও নিজেই নাকি অবৈধ নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন। সেই ‘অবৈধ নির্মাণ’বন্ধ করতে হবে।
আর এতেই যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে ! প্রশাসনিক কোপে খোদ শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ই। এর পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কিন্তু কী এমন ঘটল যাতে চেয়ারে বসার চোদ্দ দিনের মধ্যেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি খোদ বিডিও’র বিরুদ্ধে এসডিও’কে চিঠি লিখলেন ?
একটু খোঁজ খবর করতেই বেড়িয়ে এল অন্য ছবি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মীরা বিবির বক্তব্য, সরকারি জমিতে চলছিল নির্মাণ। সেই নির্মাণ বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে মহকুমা শাসককে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। শুধু সেটুকুই বন্ধের আবেদন জানানো হয়। তবে সরকারি জমি জবরদখল করে পার্টি অফিস থাকার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মীরা বিবির আরও দাবি, ওই সরকারি জমিতে শুধু পার্টি অফিস আছে তাই নয়, রয়েছে দোকানও।
ভগবানগোলায় নশীপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও বিডিও অফিসের সামনে সরকারি জমিতে সেই তৃণমূল কংগ্ররসের অফিস সরাতে এবার জেলার তৃণমূল নেতাদের চিঠি দিয়েছেন ভগবানগোলা ২ ব্লকের বিডিও মহম্মদ ওয়ারশিদ খান । চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে স্থানীয় বিধায়ক, ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব ও যাদের ওই অফিস সেই খোড়িবোনা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতিকেও। সরকারি জমি থেকে তৃণমূলের অফিস সরানোর চিঠিতে কার্যত ফাঁপরে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মীরা বিবিই। এই ঘটনা সামনে আসায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। শুরু রাজনৈতিক বিতর্কও।