TMC MP তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ জহর সরকারের সাংসদ পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তর প্রশংসায় সরব অধীর চৌধুরী। রবিবারই আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন জহর সরকার Jawhar Sircar। এই সিদ্ধানকে স্বাগত জানিয়েছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। অধীরের দাবি, দেশজুড়ে মানুষ আন্দোলনে শামিল হচ্ছে। সহমর্মিতা দেখাচ্ছেন। তাও সহানুভুতি নেই রাজ্য সরকারের।রবিবার অধীর বলেন, “ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের তিনজন সাংসদ, শুখেন্দু বাবু (Sukhendu Sekhar Roy) , শান্তনু বাবু ( Dr. Santanu Sen) , জহর সরকারের প্রতিবাদ করতে দেখেছি। এরা সকলেই রাজ্যসভার সদস্য। এর মধ্যে শুখেন্দু বাবু বা জহর বাবুর কতদিনের টার্ম আছে জানি না, তবে তাদের এই ভূমিকা দেখে আমার প্রশংসা করতে ইচ্ছে করছে। একটা পার্টিতে থেকে তার বিরোধিতা করা, বাংলার মা বোনেদের আন্দোলনের সমর্থন করা আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা নিশ্চয় প্রশংসার দাবি রাখে” ।
তবে এই দাবির প্রভাব পড়ছে তৃণমূলে ? প্রশ্ন তুলেছেন অধীর। তিনি বলেন, “ কিন্তু এবাংলায় যারা ক্ষমতা ধারী তাদের এই প্রতিবাদের কোন রকম প্রতিফলন হবে কিনা তা নিয়ে আবার সন্দেহ আছে। গণ্ডারের যেমন চামড়া মোটা হয় কিছু ভেদ করে না , পশ্চিমবঙ্গ যে নিরলজ্জতার চামড়া বা আবরন এতো মোটা তাদেরকে কোন অনুকম্পা , অনিসুচি কিছুই তাদেরকে স্পর্শ করে না। আজ পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর একবার মনে হল আন্দোলনরত ডাক্তারদের আলোচনা করা বা আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করা দরকার তা করলেন না। ১৪ তারিখ রাত দখলে বাংলায় ২ থেকে আড়াই কোটি মানুষ সামিল হয়েছিল। সব কিছুর পরেও মুখ্যমন্ত্রী কি করে এই ভাবে অভেদ্য অবস্থায় থাকে তা ভেবে আমার অবাক লাগছে” ।
অধীর দাবি করেছেন, সরকার বিবেকহীন। তিনি বলেন, “ জহর সরকারের যে উদ্যোগ সেই উদ্যোগ সেই উদ্যোগ যেন তৃণমূলের অন্য জনপ্রতিনিধিরা যাতে অনুসরণ করে সেটা আমি বলবো”। অধীরের দাবি, আরজি কর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া উচিৎ সাংসদদের।