জেলা বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চেও শাওনীর সঙ্গে দূরেই থাকলেন হুমায়ুনরা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ দীপাবলির আবহে রোশনাইয়ের অভাব ছিল না। বিজয়া উপলক্ষে তৃণমূল আয়োজিত মিলন উৎসবে অথিতি বরণেও ছিল না খামতি। তবু চড়া হল বিচ্ছেদের সুর।
রাজ‍্যের নির্দেশ মেনে ব্লক ও শহরের বিজয়া উপলক্ষে জনমন যাচাইয়ে দশদিন ধরে জনসভা করে তৃণমূল। কালীপুজোর আগের দিন রাতে বিজয়া সম্মিলনীর পাশাপাশি জেলা কার্যালয়ে শ‍্যামাপুজোর উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়েছিল। অথচ রাত পর্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ সেই অনুষ্ঠান থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখলেন বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার একাধিক বিধায়ক। আসেন নি একাধিক ব্লক ও অঞ্চল নেতারাও। নিজেকে ওই অনুষ্ঠান থেকে দূরেই রেখেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড।
নওদার বিধায়ক সাহিনা মমতাজ বলেন, সকালে সভানেত্রী ফোন করলেও একবারও জেলা কার্যালয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বলেন নি। তিনি অবশ্য ওইদিন রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনে হাজির ছিলেন। নিজের অবস্থানেই অনড় ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে জেলা সভাপতির পটে না। তাই যাই না। এটা এখন না পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই আমাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সভাপতি বদলের জন্য রাজ‍্য নেতাদেরকেও জানিয়েছি। দেখা যাক কী হয়?
এদিন বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চে দেখা যায়নি জলঙ্গির বিধায়ক আবদুর রজ্জাক, হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখকেও। সুস্থ হয়ে রাজনীতি মঞ্চে ফিরলেও এদিনের অনুষ্ঠানে আসেন নি সাংসদ তথা দলের চেয়ারম্যান আবু তাহের খান ও। তবে বিধায়কদের অনুপস্থিতি মানেই যে দলের অন্দরে ফাটল তা মানতে নারাজ শাওনী। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে মিল না থাকলে আমরা এ জেলার পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত দখল করতে পারতাম না। জেলার বিজয়া সম্মেলনের দিনেই রেজিনগরে বিজয়া সম্মলনের আয়োজন করেছিলেন বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী। জেলার অনুষ্ঠান ছেড়ছ ওই অনুষ্ঠানে যেতে পারেন নি জানিয়ে শাওনি বলেন, সকলেরই কিছু না কিছু কাজ আছে। তাই সময়ে উপস্থিত হতে পারেন নি। তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অপূর্ব বলেন, বিজয়া সম্মেলন নিয়ে আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি জেলা সভাপতি। তাই ওই অনুষ্ঠানে যাইনি।