মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদে এসে খুন হয়েছেন নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল বিশ্বাস । সেই খুনে এদিন নওদা থানায় নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতি সফিউজ্জামান সেখ ওরফে হাবিব মাস্টার ও নদিয়ার জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিকের বিরুদ্ধে নওদা দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগ। নওদার তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি নওদার সফিউজ্জামান সেখ ওরফে হাবিব মাস্টার ও নদিয়ার জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিকের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগ । এই দুই তৃণমূল নেতা সহ মোট দশ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত তৃণমূল নেতা মতিরুল বিশ্বাসের স্ত্রী রিনা খাতুন বিশ্বাস । দুই নেতা সহ দশজনের বিরুদ্ধে নওদা থানায় দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগ।
এদিন সকালে প্রথমে সিবিআই তদন্ত চাইলেও পরে সিআইডি তদন্ত চান মৃতের স্ত্রী রিনা খাতুন বিশ্বাস । তৃণমূল নেতা খুনে আগেই উঠেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। ওই নেতার স্ত্রী রিনা বিশ্বাস নারায়ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। মতিরুল নদিয়ার করিমপুর ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি । স্ত্রীর দাবি, খুনীদের খুঁজে বের করতে সিআইডি তদন্ত চাই। নেতার স্ত্রী যদিও এদিন সকালে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। যদিও পরে সেই দাবি থেকে সরে এসে সিআইডি তদন্ত দাবি করেছেন। শুক্রবার সকালে নওদা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। রিনা খাতুন বলেন, ” পার্টি করতে গিয়েই আমার স্বামী খুন হয়েছে। আমার স্বামী যাদের নামে অভিযোগ করেছেন তাদের নামেই অভিযোগ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা আছে। আমি রাজ্য পুলিশের তদন্তে খুশি না “। এদিন নওদা থানায় নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতি সফিউজ্জামান সেখ ওরফে হাবিব মাস্টার ও নদিয়ার জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিকের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগ। দুই নেতা সহ দশজনের বিরুদ্ধে নওদা থানায় দায়ের হয়েছে এফআইআর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় গুলি, বোমা মেরে খুন করা হয় ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। জানা গিয়েছে, মতিরুলের ছেলে নওদার এক বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে । ছেলের সাথে দেখা করতেই এসেছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। । সব সময়ের মতো এদিনও সাথে ছিলেন ওই নেতার ব্যক্তিগত নিরপত্তারক্ষী । ছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারও।
বৃহস্পতিবার রাতেই নওদায় ঘটনাস্থলে আসেন মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ, সাথে ছিলেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও। জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘গুলি চলেছে, বোমাবাজি হয়েছে। বহরমপুরে মুর্শিদবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। আমরা তদন্ত করছি”।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নওদার মহম্মদপুর এলাকা থেকে মোটরবাইকে চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। নিজেই চালাচ্ছিলেন বাকি। পিছনের সিটে বসেছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। পিছনের বাইকে ছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারও। নওদার টিয়াকাটা ফেরিঘাটে পৌঁছানোর আগেই শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে বাইক লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মতিরুল। কাছ থেকে ফের বোমাবাজি হয়। কাছ থেকে ছোঁড়া হয় গুলিও। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় মতিরুলের । সিআইডি তদন্তের দাবি করেছেন তৃণমূল নেতার স্ত্রী।
শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর মরদেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।